অনেকেই ভাবেন দলের টিকিট না পেলে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে জিতব। কিন্তু নির্দল হয়ে জিতে আসলে দলে আর সুযোগ নেই। যারা বেইমানি করছে তাদের দলে নেওয়া হবে না৷ দলের শৃঙ্খলার উপরে কেউ নয়। নব জোয়ার সভা থেকেই সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। দলীয় নির্দেশ অমান্য করে নির্দল প্রার্থীদের সমর্থনে কাজ করলেও যে কড়া পদক্ষেপ করা হবে, তাও আগেই জানিয়েছিলেন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব। কিন্তু সেই সতর্ক বার্তায় কাজ না হওয়ায় এবার আরও ১৪ জন কর্মীকে দল থেকে সাসপেন্ড করার কথা জানাল তৃণমূলের জেলা কোর কমিটি। ঘটনাচক্রে, গত রবিবারই এক সঙ্গে দলের ৩০ জন কর্মী সাসপেন্ড করা হয়েছিল একই কারণে।
প্রসঙ্গত, দলের তরফে ঠিক করে দেওয়া প্রার্থীকে কেউ মেনে না নিলে তার বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের বার্তা আগেই দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তার পরেও দেখা যায়, রাজ্য জুড়ে বহু আসনে ‘গোঁজ’ হয়ে দাঁড়ান টিকিট না পাওয়া তৃণমূল নেতানেত্রীরা। শুক্রবার সকালে বোলপুরের দলীয় কার্যালয়ে সাংবাদিক বৈঠক করে এ রকম ১৪ জন ‘বিক্ষুব্ধ’কে সাসপেন্ড করার বিষয়টি জানিয়ে দেন জেলা কোর কমিটির আহ্বায়ক তথা বিকাশ রায়চৌধুরী ও লাভপুরের বিধায়ক অভিজিৎ সিংহ। যাঁদের সাসপেন্ড করা হয়েছে, তাঁরা রাজনগর, খয়রাশোল, দুবরাজপুর, সিউড়ি-১, রামপুরহাট-১ এবং নলহাটি-২ ব্লকের কর্মী।