আবারও বাজিমাত করল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাংলা। দুর্নীতির অভিযোগ তুলে গ্রামীণ বাংলায় প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকা আটকে দিয়েছে বঙ্গ বিজেপি। কিন্তু তাঁরা পারছে না একের পর এক কেন্দ্রীয় প্রকল্পে দেশের একাধিক বিজেপি শাসিত ডবল ইঞ্জিনের সরকার ও রাজ্যগুলিকে পিছনে ফেলে বাংলার সাফল্যকে ধামাচাপা দিয়ে রাখতে। তাই তো আবারও সাফল্যের মুখ দেখল বাংলা। এবার এই রাজ্য দেশের মধ্যে দ্বিতীয় হয়েছে কেন্দ্রীয় আবাসন মন্ত্রক পরিচালিত শহরাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রকল্পে। এই তথ্য জানিয়েছে খোদ কেন্দ্র সরকারই।
কেন্দ্রীয় আবাসন মন্ত্রকের তথ্য বলছে, চলতি বছরের প্রথম ৫ মাসে অর্থাৎ জানুয়ারি থেকে মে, এই সময়ে বাংলায় শহরাঞ্চলে প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার প্রকল্পে ৮৪৪ কোটি টাকা খরচ করেছে রাজ্য। যার মধ্যে রাজ্যের পুর এলাকায় বাড়ি তৈরির জন্য কেন্দ্রের পাঠানো ৫০০ কোটির বেশি টাকা উপভোক্তার ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে সরাসরি বা ডিবিটি জমা হয়েছে। জাতীয় পর্যায়ে যার সৌজন্যে বাংলা দ্বিতীয় স্থানে উঠে এসেছে। এই প্রকল্পে প্রথম স্থানে রয়েছে অন্ধ্রপ্রদেশ ও মধ্যপ্রদেশ। বাংলার চেয়ে বহুগণ বড় উত্তরপ্রদেশও এই প্রকল্পে বাংলার মতোই ৫০০ কোটি খরচ করতে পেরেছে। আর এই সাফল্যের মধ্যেই প্রশ্নের মুখে পড়ে গিয়েছে কেন্দ্রের ভূমিকা প্রধানমন্ত্রী গ্রামীণ আবাস যোজনা প্রকল্পে বাংলার ভাগের টাকা আটকে রাখার জন্য। এই নিয়ে কেন্দ্রকে একহাত নিয়েছেন কলকাতার মেয়র তথা রাজ্যের পুর ও নগরোন্নয়ন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম।
উল্লেখ্য, প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনায় বাড়ি তৈরির জন্য খরচ জোগাতে হয় কেন্দ্র, রাজ্য ও উপভোক্তাকে। ৫ লাখের বেশি জনসংখ্যার পুর এলাকায় এই বাড়ি তৈরির জন্য উপভোক্তাকে ৩৫ হাজার টাকা দিতে হয়। এক্ষেত্রে কেন্দ্রীয় সরকার দেয় দেড় লক্ষ টাকা। ১ লাখ ৯৩ হাজার টাকা বাড়ি প্রতি দিতে হয় রাজ্য সরকারকে। গত মে’মাস পর্যন্ত পশ্চিমবঙ্গের পুর এলাকাগুলিতে মোট ৭৮ হাজার বাড়ি তৈরির কাজ শুরু হয়েছে। যার মধ্যে ২১ হাজার বাড়ির কাজ ইতিমধ্যেই শেষ হয়েছে।