কাগজে-কলমে আগামীকাল, অর্থাৎ শুক্রবার মধ্যরাত থেকেই বাংলার ৫০৯টি কলেজে চালু হতে চলেছে স্নাতকস্তরে ভর্তির পোর্টাল। চলতি বছর থেকে এই পোর্টালের মাধ্যমেই কলেজে ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে আগামী ১৫ই জুলাই পর্যন্ত। এবছর থেকেই স্নাতক চার বছরের। গত মে মাসে উচ্চ মাধ্যমিকের ফল প্রকাশিত হয়। উচ্চশিক্ষা দফতরের তরফে সে সময়ই জানানো হয়েছিল, গত কয়েক বছরের মতো ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের স্নাতক স্তরে পড়ুয়াদের ভর্তির প্রক্রিয়া অনলাইনে হবে। গত ২ জুন প্রকাশিত সে সম্পর্কিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছিল, জুলাই মাসের প্রথম দিন থেকে অনলাইনে ভর্তির প্রক্রিয়া শুরু হবে। স্নাতক স্তরে ভর্তির আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে আগামী ১৫ জুলাই পর্যন্ত। সেই আবেদনপত্রের ভিত্তিতে ২০ জুলাই পড়ুয়াদের মেধাতালিকা প্রকাশ করা হবে। অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শেষ করতে হবে ৩১ জুলাইয়ের মধ্যে, যাতে অগস্টের প্রথম দিন থেকে স্নাতকের প্রথম সেমেস্টারের ক্লাস শুরু করা যায়। সেই অনুযায়ীই শুক্রবার মধ্যরাতের পর থেকে রাজ্যে অনলাইনে ভর্তি প্রক্রিয়া শুরু হয়ে যাচ্ছে। কেন্দ্রীয় পোর্টাল নয়, নিজস্ব পোর্টালে ভর্তি প্রক্রিয়া চালাবে আপাতত ৫০৯টি কলেজ।
উল্লেখ্য, ভর্তি প্রক্রিয়া নিয়ে উচ্চশিক্ষা দফতর বেশ কিছু নির্দেশও দিয়েছে। বলা হয়েছে, কেবলমাত্র পড়ুয়াদের মেধার ভিত্তিতেই ভর্তি নিতে হবে। ভর্তি প্রক্রিয়ার সময় সংশ্লিষ্ট ছাত্র-ছাত্রীকে তাঁদের শংসাপত্র যাচাইয়ের জন্য ডাকা যাবে না। অনলাইনে পড়ুয়াদের শংসাপত্র আপলোড কিংবা যাচাইয়ের জন্য তাঁদের কাছ থেকে থেকে কোনও অর্থ আদায় করতে পারবে না সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয় বা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলি। যোগ্য পড়ুয়ারা স্নাতকে ভর্তির সুযোগ পেলে বিষয়টি ইমেল অথবা ফোনের মাধ্যমে তাঁদের জানাতে হবে। কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়গুলি কোনও ভাবেই পড়ুয়াদের থেকে নগদে ভর্তির ফি নিতে পারবে না। বরং অনলাইনে অথবা নির্দিষ্ট ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ফি প্রদান করতে পারবেন মেধাতালিকায় নাম থাকা পড়ুয়ারা। স্নাতকে ভর্তির প্রক্রিয়ার সময় পড়ুয়াদের যাবতীয় শংসাপত্র অনলাইনেই আপলোড করতে হবে। পাশাপাশি উচ্চশিক্ষা দফতর জানিয়েছে, শংসাপত্রে গরমিল পাওয়া গেলে বাতিল করে দেওয়া হবে পড়ুয়াদের আবেদনপত্র।