মঙ্গলবারই দু’টি পৃথক বিজ্ঞপ্তিতে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, আগামী ২৪ জুলাই বাংলার ৭ রাজ্যসভা আসনে ভোট। এবং ভোটগণনা শুরু হবে ওই দিন সন্ধেতেই। পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভায় একজন প্রার্থীকে রাজ্যসভা নির্বাচনে জয়ী হতে গেলে ৪২টি ভোট প্রয়োজন। সেই নিরিখে ছয়টি আসনের মধ্যে পাঁচটি আসনে তৃণমূল এবং একটি আসনে বিজেপির জয় নিশ্চিত। কিন্তু সেই আসনে গেরুয়া শিবিরের প্রার্থী কে হবেন, তা নিয়ে নতুন করে বঙ্গ বিজেপিতে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মাথাচাড়া দেওয়ার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত যদিও নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহ, জেপি নাড্ডার নেতৃত্বাধীন বিজেপি-র পার্লামেন্টারি বোর্ড গ্রহণ করবে। কিন্তু রাজ্য থেকে যে নামের প্রস্তাব পাঠানো হবে সেখানে সহমতের সম্ভাবনা কম বলেই রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশের পর্যবেক্ষণ।
বঙ্গ বিজেপির একাংশের বক্তব্য, বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের কাছে এক বা একাধিক নামের প্রস্তাব পাঠাবেন। রাজ্যসভার নির্বাচনের ফলাফল যেহেতু বিধানসভায় বিধায়ক সংখ্যার নিরিখে ঠিক হয়–তাই বিরোধী দলনেতার অভিমতের বাড়তি গুরুত্ব থাকে। তাই শুভেন্দুর অভিমত কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবেন বলেই রাজ্য বিজেপির একাংশ মনে করছেন। আবার শুভেন্দুর পাল্টা রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদারও রাজ্য নেতৃত্বের তরফে নামের সুপারিশ করতে পারেন। সেখানে রাজ্য বিজেপির সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তীর অভিমতের গুরুত্ব রয়েছে। ফলে সব মিলিয়ে মতানৈক্য তৈরীর সম্ভাবনা প্রবল।