কথায় আছে, ‘যে মেঘ গর্জায়, সেই মেঘ বর্ষায় না’। বঙ্গ সিপিএমেরও যেন এখন সেই দশা। তাদের সমস্ত তর্জন-গর্জন যে শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়াতেই সীমাবদ্ধ, বাস্তবে যে সংগঠনের হাল শোচনীয় তা ভাল মতো টের পাচ্ছে খোদ আলিমুদ্দিনও। এবার যেমন পঞ্চায়েত ভোটের আগে সিমলাপালের পার্শ্বলা গ্রাম পঞ্চায়েতের আঁধারিয়া গ্রামে প্রায় ৪০ টি পরিবার সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দিল। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে ওই পরিবারগুলির সদস্যদের হাতে দলীয় পতাকা তুলে দেন সিমলাপাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফাল্গুনী সিংহবাবু। এর ফলে বাঁকুড়ার জঙ্গলমহলে আরও শক্তি বৃদ্ধি হল শাসক দলের।
সিপিআইএম ছেড়ে তৃণমূলে আসা রামদাস মুর্মু নিজেকে ওই দলের লোকাল কমিটির প্রাক্তন সদস্য দাবি করে বলেন, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শিক্ষাশ্রী, কন্যশ্রী, রুপশ্রী, খাদ্যসাথী, স্বাস্থ্য সাথীর মতো বেশ কিছু জনমুখী প্রকল্পের সূচণা করেছেন। আর জনমুখী এই প্রকল্পকে সমর্থন জানিয়েই তিনি দলবদল করলেন বলে জানান। সিমলাপাল ব্লক তৃণমূল সভাপতি ফাল্গুনী সিংহবাবুর দাবি, মানুষ ভুল বুঝতে পেরেছেন। এবার তাই প্রায় ৪০ টি পরিবার তৃণমূলে যোগ দিলেন। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনে পার্শ্বলা গ্রাম পঞ্চায়েতের সবকটি আসনেই তাঁরাই জয়ী হবেন বলে তিনি দাবি করেন।