ভোটের আগে থেকেই কর্ণাটকে চাপা বিরোধ ছিল সিদ্দারামাইয়া এবং ডিকে শিবকুমারের শিবিরের মধ্যে। দুই পক্ষের সমর্থকরাই চেয়ছিলেন তাঁদের নেতাকেই মুখ্যমন্ত্রী করা হোক। পরিস্থিতি এমনই হয়েছিল যে বিজেপিকে ধরাশায়ী করার পরও মুখ্যমন্ত্রী নির্বাচন করতে কার্যত কালঘাম ছুটেছিল কংগ্রেসের। শেষ পর্যন্ত সিদ্দারামাইয়ার নাম মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। উপমুখ্যমন্ত্রী করা হয় শিবকুমারকে। এবার তেমনই এক টানাপোড়েনের পরিস্থিতি তৈরি হল ভোটমুখী ছত্তিশগড়ে। যার ফলে সেখানে ভূপেশ বাঘেল বিরোধী হিসেবে পরিচিত ত্রিভুবনেশ্বর শরণ সিংদেওকে উপমুখ্যমন্ত্রীর পদে বসানো হল।
সোমবার রাহুল গান্ধী এবং কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খড়গের উপস্থিতিতে সে রাজ্যের নতুন উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে টিএস সিংদেওর নাম বেছে নেওয়া হয়। বুধবার তিনি শপথ নিলেন। এই টিএস সিংদেও বরাবরই ভূপেশ বাঘেল বিরোধী মুখ হিসেবেই পরিচিত। দীর্ঘদিন তিনি ছত্তিশগড়ের বিরোধী দলনেতা ছিলেন। ২০১৮ সালের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের পর তাঁকেই মুখ্যমন্ত্রী পদের সবচেয়ে বড় দাবিদার ধরে নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু, সকলকে অবাক করে দিয়ে তৎকালীন কংগ্রেস সভাপতি পদে থাকা রাহুল গান্ধীর উদ্যোগে ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী পদের জন্য বেছে নেওয়া হয় ওবিসি সম্প্রদায়ের নেতা ভূপেশ সিং বাঘেলকে।
যদিও সে সময় রটে গিয়েছিল আড়াই বছর পর তিনি মুখ্যমন্ত্রীর পদ ছেড়ে দেবেন। তবে নির্ধারিত সময় এলে সেই শর্ত মানতে চাননি বাঘেল। এরপর থেকেই ভূপেশ বাঘেল এবং টিএস সিংদেওর মধ্যে একটি ঠান্ডা লড়াই চলতে থাকে। একটা সময় রটে যায় এই নেতা কংগ্রেস ছেড়ে পদ্ম শিবিরে নাম লেখাবেন। পরিস্থিতি যাতে হাতের বাইরে না বেরোয় সে কারণেই খোদ রাহুল গান্ধী এ বিষয়ে হস্তক্ষেপ করেছেন বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহলের একাংশ। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব মেটাতে তাঁর উদ্যোগেই ভোটমুখী ছত্তিশগড়ে আচমকা উপ মুখ্যমন্ত্রী করা হল এই টিএস সিংদেওকে।