বাংলার তরুণ প্রজন্মকে ব্যবসায় উৎসাহ দিতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার চলতি অর্থবর্ষেই চালু করেছে ‘ভবিষ্যত ক্রেডিট কার্ড স্কিম। চলতি বছরে রাজ্য বিধানসভায় এই প্রকল্প চালুর কথা ঘোষণা করেন রাজ্যের অর্থদফতরের স্বাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।
দেখা যাচ্ছে সেই প্রকল্পের জন্যই রাজ্যের ২৩টি জেলা থেকে এখনও পর্যন্ত ৭০ হাজার আবেদন জমা পড়েছে। বেঙ্গল চেম্বার অফ কমার্সের এক অনুষ্ঠানে এমনই তথ্য তুলে ধরেছেন রাজ্যের ক্ষুদ্র, ছোট ও মাঝারি শিল্প দফতরের প্রধান সচিব রাজেশ পান্ডে। ওই ক্রেডিট কার্ড দিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার Credit Guaranty Trust Fund for Micro and Small Finance Enterprise’র সঙ্গে চুক্তিও করেছে। তারাই এখানকার আবেদনকারীদের ঋণ দেওয়ার সুযোগ করে দেবে।
চলতি অর্থবর্ষের বাজেট পেশের সময় চন্দ্রিমা জানিয়েছিলেন, ভবিষ্যৎ ক্রেডিট কার্ড স্কিমের মাধ্যমে রাজ্যের ১৮-৪৫ বছর বয়সিরা তাঁদের স্বনিযুক্তি প্রকল্পের কাজে বা নিজ উদ্যোগে কোনও ব্যবসা শুরু করতে ৫ লক্ষ টাকা পর্যন্ত ব্যাঙ্ক ঋণ পাবেন। যে উদ্যোগ তৈরি হবে, তার প্রকল্প ব্যয়ের ১০ শতাংশ অর্থ রাজ্য মার্জিন হিসেবে দেবে। এই বাবদ প্রত্যেকে সর্বোচ্চ ২৫ হাজার টাকা করে ভর্তুকি পাবেন ঋণের ওপর।
এই প্রকল্প বাস্তবায়িত করতে ৩৫০ কোটি টাকার বাজেট বরাদ্দ রেখেছিলেন চন্দ্রিমা। এই অর্থবর্ষে রাজ্যের ২ লক্ষ মানুষকে এই প্রকল্পের আওতায় আনার লক্ষ্যমাত্রা রয়েছে। এখন দেখা যাচ্ছে প্রথম ৪ মাসেই এই প্রকল্পের জন্য আবেদন জমা পড়েছে ৭০ হাজারটি। রাজ্যের অর্থদফতরের আধিকারিকেরা মনে করছেন এই গতিতে আবেদন জমা পড়লে চলতি অর্থবর্ষে তা লক্ষ্যমাত্রা অতিক্রম করে ফেলবে।
তবে আবেদন করলেই যে ঋণের অনুমোদন দিয়ে দেওয়া হচ্ছে এমনটা কিন্তু নয়। ঋণ নিয়ে কে কি ব্যবসা খুলবেন বা কোন ক্ষুদ্র শিল্পের ক্ষেত্রে বিনিয়োগ করবেন সেই সব কিছু খতিয়ে দেখা হচ্ছে। যেখানে ঋণ পরিশোধের সম্ভাবনা থাকছে সেখানেই ঋণের আবেদন মঞ্জুর করা হচ্ছে। সেই কারণেই এখনও পর্যন্ত ৭০ হাজার আবেদন জমা পড়লেও ঋণের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ১৩ হাজার আবেদনের ক্ষেত্রে। বাকি আবেদন হয় বাতিল হয়েছে নাহয় তা বিবেচনার পর্যায়ে রয়েছে। যেহেতু এই প্রকল্পে ঋণ দেবে ব্যাঙ্ক, তাই ইতিমধ্যেই বেশ কয়েকটি ব্যাঙ্কের সঙ্গে কথা হয়েছে রাজ্যের আধিকারিকদের। সূত্রের দাবি, সেই সব ব্যাঙ্ক ঋণ দিতে রাজিও হয়েছে।