বহুদিন থেকেই জাতিদাঙ্গার আগুনে উত্তপ্ত বিজেপিশাসিত মণিপুর। এখনও আয়ত্তে আসেনি পরিস্থিতি। তবে এ নিয়ে হেলদোল নেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর। সম্প্রতি মার্কিন মুলুক সফর সেরে ফিরে মোদীর মাথা ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বিরোধী জোট। সোমবার উত্তর-পূর্বের অশান্ত অবস্থা নিয়ে মোদীকে রিপোর্ট দেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। ভাবা হচ্ছিল, মণিপুর নিয়ে হয়ত মন্তব্য করবেন তিনি। কিন্তু মণিপুর নিয়ে একটি শব্দও খরচ করলেন না তিনি। মধ্যপ্রদেশের ভোট ময়দানে দাঁড়িয়ে, মোদী আক্রমণ করলেন বিরোধী মহাজোটকে। ২৭শে জুন ভোপালে দলীয় কর্মীসভায় মোদী দুর্নীতির প্রশ্নে বিরোধীদের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানান। বিরোধীরা বলছেন, মহাজোটের ঐক্যের ছবি দেখে খানিক ভীত মোদী। উল্লেখ্য, যে রাজ্যে দাঁড়িয়ে মোদী দুর্নীতির কথা বলছেন, সে রাজ্যের বিজেপির মুখ্যমন্ত্রীর নাম ব্যাপম কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছে। যা ভারতের ইতিহাস অন্যতম বড় দুর্নীতি হিসেবে পরিচিত।
এবিষয়ে বিরোধীদের স্পষ্ট বক্তব্য, কোথায় গেল মোদীর সাফল্য এবং জনপ্রিয়তা, মধ্যপ্রদেশের সভায় গিয়ে সে’রাজ্যের কথা ভুলে পাটনার বিরোধী-বৈঠক নিয়ে বলতে হচ্ছে কেন? রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মত, বিরোধী জোটকে প্রকাশ্যে আমল না দিলেও, ভয় আক্রমণ করেছে গেরুয়াশিবিরকে। উল্লেখ্য, ২৩শে জুন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমারের ডাকে ১৫টি বিজেপি বিরোধী দলের নেতারা বৈঠকে বসেছিল। লোকসভা নির্বাচনকে পাখির চোখ করেই মহাজোট গড়ে তোলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন মমতা, রাহুল গান্ধী, শারদ পাওয়ার, নীতিশ কুমার, লালুপ্রসাদ যাদবরা। সে’সময় আমেরিকা সফরে ছিলেন মোদী। দেশে ফেরার পর, ভোপালে বিজেপির বুথ কমিটির সভাপতিদের নিয়ে ‘মেরা বুথ সবসে মজবুত’ কর্মসূচিতে জোটকে কটাক্ষ করলেন মোদী। মোদীর এই আচরণই জোটকে আরও তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপে পরিণত করল, এমনটাই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।