ভোটের বাজারে নির্বাচনী প্রচারে নেমে পড়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। গতকাল কোচবিহার। আজ জলপাইগুড়ি। জোরকদমে প্রচার চলছে।
মঙ্গলবার দুপুরে জলপাইগুড়ির চেকেন্দা ভান্ডারী মাঠ থেকে চা শ্রমিকদের বঞ্চনার ইস্যুতে আবারও সরব মমতা। অতীতে ৩৪ বছরের বাম সরকার হোক, বা বিগত ১০ বছরে দিল্লির বিজেপি সরকার… কেউ চা শ্রমিকদের জন্য কিছুই করেনি বলে দাবি তৃণমূল নেত্রীর। পঞ্চায়েত ভোটের মুখে চা শ্রমিকদের বঞ্চনা-লাঞ্ছনার অভিযোগ নিয়ে আরও সুর চড়ালেন মমতা। একইসঙ্গে মমতার প্রতিশ্রুতি, প্রত্যেক চা বাগান শ্রমিককে ঘর বানিয়ে দেওয়া হবে। চা বাগানের শ্রমিকদের জন্য পাট্টা দেওয়া হবে।
চা বাগানে যাঁরা কাজ করেন, তাঁদের অভাব-অভিযোগ রয়েছে অনেক। আর সেই ইস্যুগুলিকে আজ পঞ্চায়েতের নির্বাচনী প্রচারে হাতিয়ার করলেন মমতা। আলিপুরদুয়ার ও জলপাইগুড়ি জেলা মিলিয়ে মোট ২৮২টি চা বাগান রয়েছে। সেখানে কাজ করেন প্রায় তিন লাখ শ্রমিক। তাঁদের উদ্দেশে তৃণমূল সুপ্রিমো তথা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি, যাঁদের পাকা বাড়ি নেই, তাঁদের প্রত্যেককে পাকা বাড়ি করে দেওয়া হবে। শুধু তাই নয়, রাজ্য সরকার যে এই বিষয়ে যথেষ্ট উদ্যোগী, সেই কথাও বুঝিয়ে দিলেন মমতা। ইতিমধ্যেই ১১৭১ জনকে পাকা বাড়ি দেওয়া হয়েছে বলে দাবি তৃণমূল নেত্রীর।
মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, আজকের দিনে উত্তরের সব চা বাগান চালু করে দেওয়া হয়েছে। শুধু চারটি বন্ধ রয়েছে। সেই কথার প্রসঙ্গ টেনে বিজেপিকে ঠেঁস দিতেও ছাড়লেন না মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমোর দাবি, বিজেপি সব চা বাগান খুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিলেও, আদতে কিছুই করেনি। যা কাজ করার, সব তৃণমূল সরকারই করেছে বলে দাবি মমতার। চা শ্রমিকদের মজুরি বাড়ানোর বিষয়েও যে রাজ্য সরকার বিগত দিনগুলিতে উদ্যোগ নিয়েছে, সেই কথাও স্মরণ করিয়ে দেন তিনি। বললেন, ‘আগে চা শ্রমিকদের ৬৭ টাকা মজুরি ছিল। সেটা বাড়িয়ে ২২৫ টাকা করা হয়েছে।’