কুকি ও মেইতেই সম্প্রদায়ের মধ্যে সংঘর্ষের কারণে মণিপুরে কিছুতেই নিভছে না হিংসার আগুন। গত ৩ মে থেকে নতুন করে অশান্তি দানা বেঁধেছে এই ‘ডবল ইঞ্জিন’ রাজ্যে। আমজনতা থেকে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী কারোরই নিরাপত্তা নিশ্চিত নয়। হাজার হাজার সেনা আধাসেনা নামিয়েও রাশ টানা যাচ্ছে না হিংসায়। মারকুটে মহিলাদের সামনে অসহায় হয়ে পড়ছে তারা! হ্যাঁ, মণিপুরে দাঙ্গাবাজদের ঢাল হয়ে দাঁড়িয়েছে প্রমীলা বাহিনী। পরিকল্পিত ভাবে নিরাপত্তারক্ষীদের কাজে বাধা দিচ্ছে তারা। এমনটাই জানিয়েছে সেনাবাহিনী। ঘটনাপ্রবাহ যে কতটা জটিল, তা তুলে ধরে ভিডিও প্রকাশ করেছে সেনার স্পিয়ার কোর।
সোমবার নিজের টুইটার হ্যান্ডেলে মণিপুরের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে একটি ভিডিও বার্তা প্রকাশ করে সেনাবাহিনীর স্পিয়ার কোর। রাজ্যে আইনশৃঙ্খলা ফেরাতে ও জনসাধারণের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা যে বাস্তবে কতটা কঠিন তা স্পষ্টতই ফুটে উঠেছে সেখানে। সেনা জানিয়েছে, পরিকল্পিত ভাবে নিরাপত্তারক্ষীদের কাজে বাধা দিচ্ছে মহিলারা। দাঙ্গাবাজদের বাঁচাতে জওয়ানদের পথরোধ করছে তারা। রাস্তা আটকে, সেনা শিবিরের কাছে গর্ত খুঁড়ে সামরিক বাহিনীকে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করছে মহিলারা।
স্পিয়ার কোরের প্রকাশিত ভিডিওতে দেখা যাচ্ছে ইম্ফল ইস্ট জেলায় গাড়িতে অস্ত্র হাতে আস্ফালন করছে দাঙ্গাকারীরা। ২৪ জুনের ওই ঘটনায় সাফ দেখা যাচ্ছে দুষ্কৃতীদের দেহরক্ষীর মতো কাজ করছে প্রমীলা বাহিনী। এদিকে, আমজনতার প্রাণহানির আশঙ্কায় কড়া কোনও পদক্ষেপও করতে পারছেন না জওয়ানরা। জানা গিয়েছে, সম্প্রতি বন্দি করার পরও চাপের মুখে ১২ জন জঙ্গিকে ছেড়ে দিতে বাধ্য হয় সেনা। মহিলাদের নেতৃত্বে প্রায় দেড় হাজার বিক্ষোভকারী দ্রুত এলাকা ঘিরে ফেলেছিলেন। সেই প্রবল ভিড়ের মধ্যে বন্দি জঙ্গিদের বাধ্য হয়ে ছেড়ে দেয় সেনা।