বর্ষার আগমন ইতিমধ্যেই ঘটে গিয়েছে দক্ষিণবঙ্গে। আজ, সোমবারও সারা রাজ্য জুড়েই বিক্ষিপ্তভাবে হালকা ও মাঝারি বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে হাওয়া অফিস। উপকূল ও সংলগ্ন জেলাগুলিতে দুই-এক পশলা ভারী বৃষ্টি হতে পারে। বুধবার থেকে ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গে। আপাতত বিক্ষিপ্তভাবে বৃষ্টি হলেও থাকবে আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি। বর্তমানে মৌসুমী অক্ষরেখা ভিরাবল, বিদ্যানগর, উদয়পুর, আম্বালা ও কাটরার উপর অবস্থান করছে। আগামী দু’তিন দিনের মধ্যে গুজরাট, রাজস্থান, হরিয়ানা, পঞ্জাবের বেশিরভাগ অংশে ঢুকে পড়বে দক্ষিণ পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণাবর্ত নিম্নচাপে পরিণত হয়েছে। উড়িষ্যা ও বাংলা উপকূলের এই নিম্নচাপের উড়িষ্যা উপকূলের দিকে অভিমুখ। এই নিম্নচাপ ক্রমশ পশ্চিমবঙ্গ উত্তর-পশ্চিম দিকে সরে গিয়ে উড়িষ্যার উপর দিয়ে ঝাড়খন্ড পর্যন্ত যাবে আগামী দু দিনে। আবহাওয়া দফতরের সতর্কবার্তা মৎস্যজীবীদের উত্তর পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। এছাড়াও একটি ঘূর্ণাবর্ত রয়েছে উত্তর প্রদেশের উপর।
পাশাপাশি, উপকূল ও উড়িষ্যা সংলগ্ন জেলাগুলিতে বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টি হতে পারে। দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলাতে ভারী বৃষ্টি বিক্ষিপ্তভাবে হতে পারে আজ ও কাল। বৃষ্টি বেশি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর, এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। কলকাতাতেও বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার থেকে দক্ষিণবঙ্গের জেলাগুলিতে বৃষ্টির পরিমাণ কিছুটা বাড়তে পারে। বুধবার থেকে ফের ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে উত্তরবঙ্গের উপরের দিকের পাঁচ জেলা দার্জিলিং, কালিম্পং, আলিপুরদুয়ার, কোচবিহার ও জলপাইগুড়িতে। এর মধ্যে কোচবিহার ও আলিপুরদুয়ারে বৃষ্টি বেশি হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৬.৫ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩১.১ ডিগ্রি। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৭৯ থেকে ৯৮ শতাংশ। দিনভর মেঘাচ্ছন্ন আকাশ থাকবে। বিক্ষিপ্তভাবে কয়েক পশলা বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি হতে পারে। আগামী কয়েক দিন তাপমাত্রার হেরফের ঘটবে না বলেই মনে করছেন আবহবিদরা।