ভোট-পূর্ববর্তী আবহে ফের কড়া পদক্ষেপের পথে হাঁটল শাসকদল তৃণমূল কংগ্রেস। আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে গোঁজ প্রার্থীদের বিরুদ্ধে স্পষ্ট বার্তা দিয়েছিলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। হুঁশিয়ার করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। তবুও হুঁশ ফেরেনি বহু ক্ষুব্ধ প্রার্থীর। এবার সরাসরি তাঁদের সাসপেন্ড করতে শুরু করেছে দল। রবিবার বীরভূমের ৩০ বিক্ষুব্ধকে সাসপেন্ড করল ঘাসফুল শিবির। এদিন জেলা তৃণমূলের দলীয় কার্যালয় থেকে সাংবাদিক বৈঠক করে জেলার বহিষ্কৃত নেতা-কর্মীদের নামের তালিকা প্রকাশ করা হয়। তাতে দেখা গিয়েছে, খয়রাশোল ব্লকের ১৯ জন, মুরারই-১ ব্লকের ৭ জন,সিউড়ি-১ ব্লকের ১ জন, রাজনগর ব্লকের ১ জন, রামপুরহাট-২ ব্লকের ১ জন এবং দুবরাজপুরের ১ নেতা-কর্মীকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বহিষ্কৃত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে দলের বিরোধিতা করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগ, দলের নির্দেশ অমান্য করে মনোনয়নপত্র জমা করেছিলেন তাঁরা। দলীয় প্রতীক না পেয়েও মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেননি। সাধারণ মানুষের ভোটে বেছে নেওয়া প্রার্থীকে দলের কেউ মেনে না নিলে তাঁর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপের হুঁশিয়ারি আগেই দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার পুরুলিয়া থেকে অভিষেক জানালেন, প্রার্থীকে কেউ না মানলেই বহিষ্কার করা হবে। প্রার্থী না হতে পেরে অনেকেই সাময়িকভাবে দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ান। পরে আবার তাঁদের ফিরে আসতে দেখা যায়। এবার অভিষেক সাফ জানিয়ে দিয়েছিলেন, প্রার্থী না হতে পেরে যাঁরা নির্দল হয়ে লড়বেন, তাঁদের আর কখনই দলে নেওয়া হবে না। সেই নির্দেশ মেনেই এবার সাসপেন্ড করা হল বীরভূমের ৩০ জন নেতাকর্মীকে।