বিরোধী নেতা-নেত্রীদের উদ্দেশে অশালীন মন্তব্য করাই হোক বা কুকথার ফোয়ারা ছোটানো— সবেতেই গেরুয়া শিবিরের নেতা-নেত্রীদের জুড়ি মেলা ভার। সেই ধারা বজায় রেখেই যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষের কালীমন্দিরে পুজো দেওয়া নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় কুরুচিকর পোস্ট করেছিলেন এক বিজেপি প্রার্থী। যার ফলে এবার গ্রামবাসীদের রোষের মুখে পড়তে হল তাঁকে। ধর্মীয় ভাবাবেগে আঘাত করায় পদ্মনেতাকে গণপ্রহার দেওয়ার উপক্রমও হয়েছিল। পুলিশ গিয়ে তাঁকে উদ্ধার করে। তবে গ্রামবাসীদের অভিযোগের ভিত্তিতে ভোটের আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে ওই বিজেপি প্রার্থীকে। পুলিশ জানিয়েছে, ধৃতের নাম সঞ্জয় হালদার ওরফে দুকুল হালদার। শুক্রবার ধৃতকে বর্ধমান আদালতে পেশ করা হয়। বিচারক ধৃতকে ৫ দিনের বিচারবিভাগীয় হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত, গলসি-২ ব্লকের আদরাহাটি গ্রাম পঞ্চায়েতের আদরা গ্রামের ৪ নম্বর আসনে বিজেপি প্রার্থী সঞ্জয়। অভিযোগ, সঞ্জয়ের ‘দুকুল হালদার’ নামে ফেসবুকে একটি অ্যাকাউন্ট রয়েছে। বৃহস্পতিবার সেই অ্যাকাউন্টে বিতর্কিত পোস্ট করা হয়। যুব তৃণমূলের রাজ্য সভানেত্রী সায়নী ঘোষ ওইদিনই এলাকায় পঞ্চায়েত নির্বাচনের প্রচারে এসেছিলেন। আদরা গ্রামের শিবমন্দিরে পুজোও দেন তিনি। আর তা নিয়েই কুরুচিকর পোস্ট করেন সঞ্জয়। এরপরই এলাকার বিখ্যাত শিবমন্দির নিয়ে পোস্ট দেখে ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার স্থানীয়রা। তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান। এমনকী গণপিটুনি দেওয়ার উপক্রমও হয়েছিল। তবে তার আগেই গলসি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে সঞ্জয়কে গ্রেফতার করে। এ প্রসঙ্গে তৃণমূলের ব্লক সভাপতি সুজন মণ্ডল বলেন, ‘বিজেপি প্রার্থী যে নোংরা পোস্ট করেছে রাজনীতির ঊর্ধ্বে উঠে সকলেই প্রতিবাদ করেছেন।’