বিজেপি শাসিত রাজ্য আসাম। কিন্তু ‘ডবল ইঞ্জিন’ হওয়া সত্ত্বেও বিপর্যয়ের দিনে তা কোনও কাজেই লাগছে না। বরং ক্রমাগত অবনতি হচ্ছে বন্যা পরিস্থিতির। ইতিমধ্যেই তা হিমন্ত সরকারের হাতের বাইরে চলে গিয়েছে। একটানা বৃষ্টিতে ফুঁসছে ব্রহ্মপুত্র নদ ও তার একাধিক শাখানদী। জলের তোড়ে বিপর্যস্ত বিস্তীর্ণ এলাকা, জনজীবন, চাষের জমি। ২২ জেলা জুড়ে ঘরছাড়া প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ। এরই মধ্যে আসাম স্টেট ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট অথারিটি আরও এক ব্যাক্তির মৃত্যুর খবর জানিয়েছে। এখনও পর্যন্ত বন্যায় মৃতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে দুই।
প্রসঙ্গত, লাগাতার বৃষ্টির জেরে বিপর্যস্ত আসামের জনজীবন। ক্রমে এই ‘ভয়াবহ বন্যা’ পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে। সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে কামরূপ, গোয়ালপারা, ধুবরী, বকসা, শোণিতপুর, বজালি জেলা। সেখানে প্রভাবিত আড়াই লক্ষের ওপর মানুষ। বজালি থেকে নলবাড়ি পর্যন্ত আশি হাজারের ওপর এবং বরপেটায় সত্তর হাজারের ওপর মানুষ বন্যার কবলে পড়েছেন। অন্যদিকে, সেন্ট্রাল ওয়াটার কমিশন জানিয়েছে, রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় ব্রহ্মপুত্র-সহ দশটি নদী বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে। যার মধ্যে বকসা জেলায় পুঁটিমারি নদী বিপদসীমার অনেকটাই উপর দিয়ে বইছে। জোরহাটে বিপদসীমার উপরে রয়েছে ব্রহ্মপুত্র নদ