রাজ্য নির্বাচন কমিশনের একাংশ কর্তা ও সরকার তথা শাসক দলের নেতারা মনে করছেন, কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নিয়ে বড় খেলা শুরু করেছে দিল্লি। আসল উদ্দেশ্য শুধু কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন নয়, তার সঙ্গে পঞ্চায়েত ভোটের দফাও বাড়ানো। এবার পঞ্চায়েত ভোট এক দফায় ৮ জুলাই হওয়ার কথা। কমিশন ও সরকার মনে করছে, তা বাড়িয়ে বিজেপি তথা দিল্লি চার বা পাঁচ দফায় করানোর খেলায় নেমেছে।
কলকাতা হাইকোর্ট বুধবার নির্দেশ দিয়েছে এবার পঞ্চায়েত ভোটে ২০১৩ সালের মতো অন্তত ৮২ হাজার কেন্দ্রীয় বাহিনী নামাতে হবে। অর্থাৎ ৮২০ কোম্পানির বেশি সেন্ট্রাল ফোর্স নামাতে হবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে। কমিশন গত মঙ্গলবারই ২২ কোম্পানি ফোর্সের জন্য কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কাছে রিক্যুইজিশন পাঠিয়েছিল। বৃহস্পতিবার আরও ৮০০ কোম্পানি ফোর্সের জন্য স্বরাষ্ট্র মন্ত্রককে চিঠি পাঠিয়েছে
এদিন রাতেই সেই জবাব দিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক। এবং সেই জবাবেই আসল প্যাঁচ দেখছে কমিশন ও সরকার। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক জানিয়েছে, তারা ২২ কোম্পানি ফোর্স ইতিমধ্যে অনুমোদন করেছে। আরও ৩১৫ কোম্পানি ফোর্স আপাতত দিতে পারবে। অর্থাৎ ৩১৫ +২২, মানে ৩৩৭ কোম্পানি ফোর্স অনুমোদন করেছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
এবার একটু পিছনে তাকানো যাক। ২০১৩ সালে পাঁচ দফায় পঞ্চায়েত ভোট হয়েছিল। তৎকালীন রাজ্য নির্বাচন কমিশনার মীরা পাণ্ডে কেন্দ্রকে চিঠি লিখে বলেছিলেন, পাঁচ দফার জন্য ৮২০ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী লাগবে। এই ৮২০ কোম্পানি এক লপ্তে লাগবে না। প্রতি দফায় কত বাহিনী লাগবে তা যোগ করে মোট ৮২০ কোম্পানি ফোর্স চেয়েছিলেন তিনি। প্রথম দফার ভোটের জন্য ১৫০ কোম্পানি সেন্ট্রাল ফোর্স চাওয়া হয়েছিল।