মনোনয়নের নথি বিকৃতি মামলায় সিবিআই তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ। আগামী সোমবার মামলায় রায়দান। তার আগে এই মামলায় সিবিআই কোনও পদক্ষেপ নিতে পারবে না বলেই জানাল বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।
হাওড়ার উলুবেড়িয়ার ১ নম্বর ব্লকের বহিরা এবং ধূলিসামলি পঞ্চায়েতের সিপিএম প্রার্থী কাশ্মীরা বেগম খান ও তনুজা বেগম মল্লিক মনোনয়নপত্র বিকৃতির অভিযোগ তোলেন। দু’জনের দাবি, ওবিসি হওয়া সত্ত্বেও মনোনয়নপত্রের চেকলিস্টে জাতিগত শংসাপত্রের জায়গায় তার উল্লেখ করেননি ব্লক উন্নয়ন আধিকারিক বা বিডিও। তাঁরা মনে করেন, নির্বাচনী নথি বিকৃতির ফলে তাঁদের মনোনয়নপত্র স্ক্রুটিনিতে বাদ পড়ে গিয়েছে। বিডিওর কাছে সেই অভিযোগ জানাতে যান তাঁরা। তবে বিডিও অভিযোগ নেননি বলেই দাবি। আর তারপরই এই অভিযোগের জল গড়ায় কলকাতা হাই কোর্টে।
ওই মামলার পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা বলেন, ‘যে আধিকারিকের বিরুদ্ধে অভিযোগ তিনি রাজ্য সরকারি কর্মচারী। তাই রাজ্যের কাছে এই তদন্তের ভার দেওয়া সমীচীন হবে না’। এরপর এই মামলায় সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন বিচারপতি। পঞ্চায়েত নির্বাচনের ঠিক আগের দিন অর্থাৎ আগামী ৭ জুলাই এই মামলার তদন্ত রিপোর্ট হাই কোর্টে পেশের নির্দেশ দেন বিচারপতি।
সিঙ্গল বেঞ্চের নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে বিচারপতি অরিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চে যায় রাজ্য। আপাতত সিবিআই তদন্তে অন্তর্বর্তী স্থগিতাদেশ দেয় হাই কোর্ট। আগামী সোমবার মামলার রায়দান। আদৌ সিঙ্গল বেঞ্চের রায়ই বহাল থাকে কিনা, সেটাই এখন দেখার।