বরাবরই তাঁকে পরতে দেখা যায় সাদা খোল, সরু পাড়ের শাড়ি। তবে অনুষ্ঠানের বৈচিত্র্যে শাড়ির পাড়ের বৈচিত্র্য দেখা যায়। যেমন একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটিতে তাঁর শাড়ির পাড়ে ‘অ আ ক খ’ লেখা ছিল। মোহনবাগান ক্লাবের অনুষ্ঠানে পাড়ের রং ছিল সবুজ-মেরুন। শাড়ির ব্যাপারে তাঁর ফ্যাশন বলতে এইটুকুই। আর এবার তাই নিজের পাওয়া উপহারের মধুবনী শাড়ি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্ত্রীর জন্য বরাদ্দ করে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আজ, পাটনায় বিরোধীদের মেগা বৈঠক। সেখান থেকে ২০২৪ সালে কেন্দ্রের বিজেপি সরকারের পতনের সলতে পাকানো হবে। আর সেই বৈঠকে যোগ দিতে বৃহস্পতিবারই সেখানে পৌঁছে যান তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় এবং রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম। লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়িতে গিয়ে ওঠেন তাঁরা। সেখানেই মমতার হাতে লালুপ্রসাদ যাদবের স্ত্রী রাবড়ি দেবী একটি রঙিন প্রিন্টের শাড়ি দেন। আর তা দেখে হেসে ফেলেন বাংলার জননেত্রী। কারণ এত রঙিন শাড়ি তিনি পরেন না। আর সেখানে দাঁড়িয়ে তেজস্বী বলেন, ‘দিদি এটা মধুবনী আর্ট।’
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পাশেই দাঁড়িয়ে ছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তখন সেই মধুবনী প্রিন্টের শাড়ি অভিষেককে দিয়ে দেন মমতা। আর একই সঙ্গে অভিষেককে নেত্রী বলেন, ‘এটা তোর বউকে দিয়ে দিস।’ এত সুন্দর শাড়ি নিজে না পরে তাঁর স্ত্রীর জন্য বরাদ্দ করার ঘটনায় অভিষেকের মুখে হাসি ফোটে। তবে এটাও দেখলেন নেত্রীর ত্যাগ করার মানসিকতা। এদিকে, মুখ্যমন্ত্রীও নিজের রাজ্যের সংস্কৃতি মেলে ধরতে পিছপা হননি। তিনি তেজস্বীর বিয়েতে আসতে পারেননি। তাই বাংলা থেকে তেজস্বীর স্ত্রীয়ের জন্য একটি শাড়ি নিয়ে গিয়েছিলেন। সেটি রাবড়ি দেবীর হাতে তুলে দেন। তাঁকে বলেন, ‘বিয়েতে তো আসতে পারিনি। তাই এখন উপহার নিয়ে এলাম।’ তেজস্বীর তিন মাসের মেয়ে আছে। তার জন্যও উপহার নিয়ে গিয়েছিলেন মমতা।