রাজ্যের পরিবহণক্ষেত্রে ফের গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নিল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার। প্রসঙ্গত, বিগত একুশের বিধানসভা নির্বাচনের প্রচারকালে নেমে রাজ্যের সার্বিক উন্নয়নের পাশাপাশি পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়নেও বিশেষ জোর দেওয়ার কথা বলেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা। সেই প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী এবার ১২টি নতুন রুটে সরকারি বাস পরিষেবা চালুর উদ্যোগ নিল রাজ্য। এই মর্মে নয়া বিজ্ঞপ্তি দিল পরিবহণ দফতর। সেখানেই বলা হয়েছে, রাজ্যের আরও নতুন ১২টি রুটে চলবে সরকারি বাস। পরিবহণ দফতর থেকে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী জানা গিয়েছে, নতুন ১২টি রুটে সরকারি বাস পরিষেবা চালানোর ক্ষেত্রে শুধু কলকাতা নয়, জেলাগুলিকেও বিশেষ ‘ফোকাস’-এ রাখা হয়েছে। তাৎপর্যপূর্ণভাবে এই ১২ রুটে সরকারি বাস পরিষেবা চালু হলে জেলার বহু যাত্রী উপকৃত হবেন বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, উক্ত ১২টি রুটের মধ্যে রয়েছে হুগলি জেলার মধ্যে জাঙ্গিপাড়া-শ্রীরামপুর রুট, রাজবলহাট- ধর্মতলা ভায়া সীতাপুর রুট, ডোমজুড় থেকে কলকাতা স্টেশন ভায়া শলপ হয়ে, মুন্সিরহাট থেকে হাওড়া ভায়া বাঁকড়া, বাঁকুড়া থেকে মালদা, পুরুলিয়া থেকে কৃষ্ণনগর, দুর্গাপুর থেকে কৃষ্ণনগর, দীঘা থেকে খাতড়া হয়ে খড়গপুর, বাঁকুড়া থেকে মেদিনীপুর হয়ে লালগড়, ক্ষীরগ্রাম থেকে মেমারি হয়ে কলকাতা, দীঘা থেকে খড়গপুর হয়ে খাতড়া এবং দুর্গাপুর থেকে বোলপুর। কার্যত জেলা এবং শহরের মধ্যে যোগাযোগ ব্যবস্থা যাতে উন্নত করা যায়, পাশাপাশি প্রান্তিক এলাকাগুলিতেও যাতে সরকারি বাস চালানো যায় সেই বিষয়টি এই পদক্ষেপের মাধ্যমে সুনিশ্চিত করা হয়েছে। সম্প্রতি এয়ারপোর্ট-টালিগঞ্জ ও এয়ারপোর্ট-হাওড়া এই দুই রুটে রাত ১০টার পর বাস চালানোর উদ্যোগ নিয়েছিল রাজ্য পরিবহণ দফতর এবং বিধাননগর পুলিশ। জানা গিয়েছে, রাতের বেলা সুযোগ বুঝে ভাড়া বাড়িয়ে দেন অ্যাপ ক্যাব চালকরা। ফলে এই রুটগুলিতে গন্তব্যে পৌঁছতে রাতের বেলা সমস্যায় পড়তে হয় যাত্রীদের। ফলে মাঝরাত পর্যন্ত এই রুটে বাস চালানোর জন্য পরিবহণ দফতরের থেকে অনুমতি চাওয়া হয় এবং তাতে সম্মতিও মেলে। তাছাড়া এয়ারপোর্ট থেকে গত এক বছরে এসি বাসের সংখ্যা যেমন বেড়েছে তেমনই তাতে যাত্রীর সংখ্যাও বেড়েছে। তাই রাতের দিকে বাস চালালে যাত্রী মিলবে না একথা জোর দিয়ে বলার জায়গা এখন আর নেই। এখন থেকে তাই রাত্রি ১০টার পর এক ঘণ্টার ব্যবধানে এয়ারপোর্ট-টালিগঞ্জ ও এয়ারপোর্ট-হাওড়া এই দুই রুটে বাস পাওয়া যাচ্ছে। এই উদ্যোগের ফলে অনেকটাই সুবিধা হয়েছে হাওড়া এবং দক্ষিণের যাত্রীদের।