১২ ঘণ্টার মধ্যেই তৃণমূলের দাপুটে তৃণমূল নেতা তথা ব্যবসায়ী ধনঞ্জয় চৌবে খুনে গ্রেফতার ২। ধৃতের মধ্যে একজন কুখ্যাত দুষ্কৃতী মহম্মদ জামাল। অপরজন তার সহযোগী হিসেবে পরিচিত আরশাদ হোসেন। পঞ্চায়েত ভোটে কংগ্রেসের প্রার্থী হয়েছিল সে। এদিকে অভিযুক্তরা গ্রেফতার হতেই অবরোধ তুলে নিলেন পুরুলিয়ার তৃণমূল কর্মীরা। তবে থমথমে রেল শহর আদ্রা।
ভরসন্ধেয় দাপুটে নেতাকে গুলিতে ঝাঁজরা করে দেওয়ার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার থেকে শোরগোল আদ্রায়। রাতেই মহম্মদ জামাল ও আরশাদ হোসেনের নামে পুলিশে লিখিত অভিযোগ করে মৃতের পরিবার। শুরু হয় তল্লাশি। গতকাল সন্ধে থেকে পুরুলিয়ার সবকটি নাকা পয়েন্টে চেকিং চালানো হয়। আনা হয় স্নিফার ডগ। দীর্ঘ তল্লাশির পর শুক্রবার ভোরে গ্রেফতার করা হয় কুখ্যাত দুষ্কৃতী মহম্মদ জামাল ও তার সহযোগি হিসেবে এলাকায় পরিচিত আরশাদকে। সূত্রের খবর, এই প্রথম নয়। এর আগে একাধিক খুনের ঘটনায় নাম জড়িয়েছে আদ্রার বেনিয়াশোলের বাসিন্দা জামালের। সুপারি কিলার হিসেবে কাজ করে জামাল, এমনটাই খবর।
এদিকে আদ্রার চুনাভাট্টি এলাকার বাসিন্দা আরশাদ। তাকে বিভিন্ন সময়ে দেখা গিয়েছে জামালের সঙ্গে। এবছর পঞ্চায়েত ভোটে কাশীপুর ব্লকের বেকো গ্রাম পঞ্চায়েতের চুনাভাট্টি এলাকায় কংগ্রেসের হয়ে মনোনয়ন জমা করেছিল সে। তবে কি রাজনৈতিক অশান্তিতেই প্রাণহানি? তা এখনও স্পষ্ট নয়।