অনেকেই ভাবেন দলের টিকিট না পেলে নির্দল হয়ে দাঁড়িয়ে জিতব। কিন্তু নির্দল হয়ে জিতে আসলে দলে আর সুযোগ নেই। যারা বেইমানি করছে তাদের দলে নেওয়া হবে না৷ দলের শৃঙ্খলার উপরে কেউ নয় নব জোয়ার সভা থেকেই সে কথা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। যেমন কথা তেমন কাজ। এবার দলের নির্দেশ না মানায় পুরুলিয়ায় ব্লক যুব সভাপতিকে অনির্দিষ্টকালের জন্য সাসপেন্ড করে তাঁর প্রার্থী পদ খারিজ করল শাসক দল তৃণমূল।
জানা গিয়েছে, পুরুলিয়ার মানবাজার ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি কিশোর মাহাতোকে সাসপেন্ড করে দল। তিনি মানবাজার এক নম্বর ব্লকের গোপালনগর গ্রাম পঞ্চায়েতের বিদায়ী প্রধানও। পুরুলিয়া জেলা তৃণমূলের সভাপতি তথা পুরুলিয়া জেলা পরিষদের জনস্বাস্থ্য ও পরিবেশ স্থায়ী সমিতির বিদায়ী কর্মাধ্যক্ষ সৌমেন বেলথরিয়া এই সাসপেন্ডর বিষয়টি জানান। তৃণমূলের ওই যুব সভাপতি মানবাজার ১ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির ন’নম্বর আসনের প্রার্থী ছিলেন। প্রার্থীপদ খারিজ করে দেওয়াই ওই এলাকার নির্দল সদস্য দেবু দাকে সমর্থন করছে তৃণমূল।
জেলা সভাপতি বলেন, ‘উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশে মানবাজার ১ নম্বর ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতিকে অনির্দিষ্টকালীন সাসপেন্ড করে তাঁর পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী পদ খারিজ করা হয়েছে।’ উল্লেখ্য, গত রবিবারও পুরুলিয়া জেলা তৃণমূল কার্যালয় থেকে একথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দেওয়া হয়েছিল, ‘গোঁজ’ হয়ে থাকলে কঠোর ব্যবস্থা নেবে দল। কিন্তু তারপরেও পুরুলিয়া জেলা পরিষদের ২৯ নম্বর আসন থেকে তৃণমূলের তরফে মনোনয়ন করা গীতাঞ্জলি মাহাতো সেখান থেকে সরে আসেননি। নেতৃত্ব তাঁকে বারে বারে মনোনয়ন প্রত্যাহার করতে বললেও সেই কথা কানে দেননি। তাই তার স্বামী পুরুলিয়ার মানবাজার ১ নম্বর ব্লকের যুব তৃণমূল সভাপতি কিশোর মাহাতোর বিরুদ্ধে এই কড়া ব্যবস্থা নিল।