গত ২৫ এপ্রিল কোচবিহার থেকে শুরু হয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘তৃণমূলে নবজোয়ার’ কর্মসূচি। তারপর একে একে রাজ্যের সব জেলায় তিনি জনসংযোগ থেকে রোড শো এবং জনসভা করেছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। মানুষের ঘরে গিয়ে সমস্যার কথা শুনেছেন। গ্রামবাংলার মত নিতে বেরিয়েছেন। এবার তাঁর সেই উপলব্ধি সঙ্গী করেই পঞ্চায়েতের ইস্তেহার তৈরি করছে তৃণমূল। ৬ জনের নির্বাচনী কমিটি কয়েকদিনের মধ্যেই তা চূড়ান্ত করে জেলাস্তরে প্রকাশ করে দেবে।
জেলাস্তরে ইস্তেহার প্রকাশ করার আরও একটি কারণ জেলাভিত্তিক এবং নির্দিষ্ট জেলার নির্দিষ্ট জনগোষ্ঠী ভিত্তিক উন্নয়নের খতিয়ান থাকবে সেই ইস্তেহারে। মূল দুটি ইস্যুর সঙ্গে যাকে বাড়তি গুরুত্ব দিয়ে রাখা হবে। যাকে ভিত্তি করে চলবে অঞ্চল কমিটির প্রচার। উত্তরে যেমন থাকবে দার্জিলিং পাহাড় থেকে ডুয়ার্সের জনগোষ্ঠীর কথা, তরাইয়ে সেখানকার মানুষের কথা, রাঢ়ভূমের জন্য থাকবে সেখানকার স্থানীয় মানুষের কথা।
আবার জঙ্গলমহল আর সুন্দরবনের মানুষের জন্য থাকবে স্থানীয় এলাকার গোষ্ঠীভিত্তিক সমষ্টিগত উন্নয়ন আর তাঁদের প্রাপ্য পরিষেবার কথা। গ্রামবাংলার প্রত্যন্ত এলাকা, তার মানুষকে গুরুত্ব দিতেই এই ভাবনা। ইস্তেহার তৈরির এই পর্বে নবজোয়ার কর্মসূচিতে অভিষেকের মানুষের কাছে পাওয়া প্রতিটা ফিডব্যাক মাথায় রাখা হচ্ছে। কারণ অভিষেকের এই কর্মসূচির মূল অংশ জনসংযোগ। যে ৬ জনকে নিয়ে নির্বাচন কমিটি গড়ে দেওয়া হয়েছে, তাঁরাই এ নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করে প্রতিটি জেলার সমস্ত অঞ্চলকে গুরুত্ব দিয়ে ইস্তেহার তৈরির কাজ করছেন।