বাংলার রাজ্যপাল হয়ে আসার পর প্রথম কিছুদিন রাজ্যের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন সি ভি আনন্দ বোস। কিন্তু সম্প্রতি রামনবমী থেকে শুরু করে ভোটের হিংসা নিয়ে তাঁর মন্তব্যে ফের রাজ্য-রাজভবনের মধ্যে সংঘাতের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ফলস্বরূপ তাঁকে বারবারই নিশানা করছেন শাসক দলের নেতা-মন্ত্রীরা। সম্প্রতি অশান্ত ভাঙড়ে গিয়ে শাসকদলের কটাক্ষের শিকার হয়েছেন তিনি। এবার রাজ্যপালকে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন রাজ্য তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তাঁর অভিযোগ, রাজ্যপাল যে ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন তাতে এটা পরিষ্কার যে তিনি ভোট পিছিয়ে দিতে চাইছেন।
এদিন শিয়ালদহ স্টেশনে গ্রাম থেকে শহরে আসা মানুষের কাছে পঞ্চায়েতের প্রচার পৌঁছে দেওয়ার কর্মসূচি ছিল তৃণমূলের। সেই কর্মসূচির শেষে কুণাল বলেন, ‘বিজেপি-সহ বিরোধীরা জানে, ভোট হলে তারা হারবে। তৃণমূলই জিতবে। তাই তারা নানা অছিলায় ভোটটাকে পিছিয়ে দিতে চাইছে। রাজ্যপালও তাদের মতো করেই এটা করতে চাইছেন।’ এখানেই না থেমে হুঁশিয়ারির সুরে তিনি বলেন, সেটাই যদি করার চেষ্টা করেন রাজ্যপাল তাতেও তৃণমূল জিতবে। কিন্তু একইসঙ্গে আওয়াজ উঠবে, সিভি আনন্দ বোস বাংলা ছাড়ো।
প্রসঙ্গত, বুধবার রাতে রাজ্যের নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার জয়েনিং লেটার গ্রহণ না করে তা পত্রপাট নবান্নে পাঠিয়ে দেয় রাজভবন। যার ফলে অদ্ভুত এক সাংবিধানিক সংকটের আবহ তৈরি হয়। এমনই সেই আবহ যে একটি মামলার শুনানিতে বৃহস্পতিবার বিচারপতি অমৃতা সিনহা তাঁর পর্যবেক্ষণে মন্তব্য করেন, পঞ্চায়েত ভোট কি আদৌ হচ্ছে? উনি (পড়ুন রাজীব সিনহা) কি এখনও নির্বাচন কমিশনার আছেন? কী হচ্ছে বুঝতে পারছি না। এ প্রসঙ্গে কুণাল বলেন, বিজেপির কথায় এই কাজ করছেন রাজ্যপাল। যেভাবে তিনি রাজভবনে শান্তিকক্ষ খুলেছেন বা নির্বাচন কমিশনারের জয়েনিং লেটার ফিরিয়ে দিয়েছেন তা তাঁর এক্তিয়ার বহির্ভূত। এমনটাই দাবি তৃণমূল মুখপাত্রের।