ভোট-আবহে সরগরম দেশের রাজনৈতিক আবহ। কিছুদিন পরেই বাংলার পঞ্চায়েত নির্বাচন। আর বছর ঘুরলে বেজে লোকসভা ভোটের দামামা। স্বাভাবিকভাবেই সেই লড়াইয়ের প্রস্তুতি আরও কঠিন ও গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্র থেকে বিজেপি সরকারকে হটাতে বিরোধীদের একজোট করার যে সলতে পাকানোর কাজ সেই ২০১৯ থেকে শুরু করেছিলেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই কাজই এগিয়ে নিয়ে যেতে উদ্যোগী জেডি(ইউ) নেতা নীতীশ কুমার। শুক্রবার পাটনায় তিনি বিরোধী বৈঠকের ডাক দিয়েছেন তিনি। আমন্ত্রিত মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। সেই বৈঠকে যোগ দিতে বৃহস্পতিবার পাটনা পৌঁছলেন তৃণমূল নেত্রী। আর সেখানে পৌঁছেই তিনি চলে গেলেন আরেক বিরোধী, বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়ি। আর সেখান থেকেই বাতলে দিলেন লোকসভা ভোটে লড়াইয়ের ফর্মুলা – ‘১:১’। অর্থাৎ বিজেপির বিরুদ্ধে সম্মিলিত বিরোধী জোটের লড়াইয়ের কথাই তুলে ধরলেন তিনি। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৫টা নাগাদ পাটনা পৌঁছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, ফিরহাদ হাকিম পৌঁছে যান লালুপ্রসাদ যাদবের বাড়িতে। সেখানে তাঁদের স্বাগত জানান বিহারের উপ-মুখ্যমন্ত্রী, লালুপুত্র তেজস্বী যাদব। সঙ্গে ছিলেন রাবড়ি দেবীও। উত্তরীয় পরিয়ে স্বাগত জানানো হয় তিনজনকেই।
এরপর বর্ষীয়ান রাজনীতিক লালুপ্রসাদ যাদবের পা ছুঁয়ে প্রণাম করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপর এখান থেকে তাঁদের জন্য নিয়ে যাওয়া উপহার একে একে তুলে দেন লালুপ্রসাদ, রাবড়ি দেবী ও তেজস্বীর হাতে। তাঁরাও পালটা উপহার দেন মমতা, অভিষেককে। বেশ কিছুক্ষণ লালুপ্রসাদ ও তেজস্বীর সঙ্গে কথাবার্তা বলেন তৃণমূল সুপ্রিমো। বেরনোর সময় তিনি সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে বলেন, ”অনেকদিন পর লালুপ্রসাদজির সঙ্গে দেখা হয়ে খুবই ভাল লাগছে। উনি অনেক দিনের রাজনীতিক। মাঝে তাঁকে জেলে যেতে হয়েছিল। শরীর খুব অসুস্থ ছিল। আজ এসে দেখলাম, ওঁর শরীর অনেকটা ভাল। আমার মনে হয়, বিজেপি বিরোধী লড়াইয়ে এখনও লালুজি অনেক বেশি দাপট নিয়ে লড়বেন। তেজস্বী, রাবড়ি দেবীর সঙ্গে দেখা হয়ে খুব ভাল লাগল।” চব্বিশে লোকসভার লড়াই নিয়ে তাঁকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ”বৈঠক তো শুক্রবার। বিরোধীরা সবাই মিলে বসে সব ঠিক করা হবে। ওয়ান ইজ টু ওয়ান ফর্মুলায় লড়াই হবে। সকলের সঙ্গে কথা বলে নীতি নির্ধারণ হবে।” উল্লেখ্য, পাটনা সার্কিট হাউসে নীতীশ কুমারের সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেন তৃণমূল সুপ্রিমো।