বুধবার রাতে রাজভবন সূত্রে জানা যায় যে রাজ্য নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহার জয়েনিং রিপোর্ট গ্রহণ করেননি রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোস। তিনি তা ফিরিয়ে দেন। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে বেশ নির্লিপ্ত জবাব দিলেন রাজীব সিনহা।
এদিন কমিশনের দফতরে প্রবেশ করার সময়ে রাজ্য নির্বাচন কমিশনারকে প্রশ্ন করা হয়, রাজভবন আপনার জয়েনিং রিপোর্ট নেয়নি বলে জানা গিয়েছে। এ ব্যাপারে আপনি কী বলবেন? জবাবে রাজীব সিনহা বলেন, ‘আমার কাছে কিছু আসেনি’।
রাজভবনের পদক্ষেপের কথা চাউর হতে বুধবার রাত থেকে প্রশাসনিক ও রাজনৈতিক মহলে হইচই পড়ে যায়। বাংলায় এ ধরনের সংকট আগে কখনও হয়নি। প্রশ্ন উঠে যায়, তা হলে কি রাজ্য নির্বাচন কমিশনার পদ থেকে রাজীব সিনহাকে সরে যেতে হবে। সংবিধান বিশেষজ্ঞদের অধিকাংশের মতে, মোটেও তা নয়। জাতীয় ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনের কমিশনাররা সুপ্রিম কোর্ট ও হাইকোর্টের বিচারপতির মর্যাদা পান। তাঁদের এভাবে সরানো যায় না। আইনসভায় দুই তৃতীয়াংশ সদস্যের মত নিয়ে সরাতে হয়। প্রশ্ন উঠতে পারে প্রাক্তন আমলা সিভি আনন্দ বোস কি সেটা জানেন না?
শাসক দল তৃণমূল মনে করছে, রাজ্যপাল পুরোদস্তুর বিজেপির অ্যাজেন্ডা নিয়ে নেমেছেন। তৃণমূল সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশন সম্পর্কে নেতিবাচক ধারণা তৈরি করতে হাওয়া দিচ্ছেন আনন্দ বোস। রাজনৈতিক প্রভুকে খুশি করার লক্ষ্যেই তাঁর এই পদক্ষেপ।