ক্ষমতায় আসার পর থেকেই দেশজুড়ে নানান ক্ষেত্রে বিলগ্নিকরণের পথে হেঁটেছে মোদী সরকার। একাধিক সরকারি সংস্থাগুলির শেয়ার গিয়েছে বেসরকারি হাতে। এলআইসির শেয়ার বিক্রি করে এক ধাক্কায় ২১ হাজার কোটি টাকা ঘরে তুলেছিল কেন্দ্র। এরপরেই এলআইসির শেয়ারের মূল্য তলানিতে এসে ঠেকেছে। যার জেরে মাথায় হাত পড়েছে ক্রেতাদের। ফলত, বর্তমানে এলআইসির শেয়ার বিক্রির কথা ভাবছে মোদী সরকার। ইতিমধ্যেই অর্থমন্ত্রক তরফে বিদেশি লগ্নিকারীদের সঙ্গে দু’দফায় আলোচনা হয়েছে। এলআইসির শেয়ার কেন বাজারে প্রভাব ফেলতে পারছে না, পাশাপাশি ফের কবে শেয়ার বিক্রির প্রস্তুতি নেওয়া উচিত, ইত্যাদি জানতে চাওয়া হয়েছে বিদেশি লগ্নিকারীদের কাছে। অর্থমন্ত্রক আরও দুই শতাংশ শেয়ার বিক্রি করে দিতে চাইছে। যা থেকে ফের একবার প্রমাণিত হল, লাভজনক, উচ্চসম্পদযুক্ত সরকারি সংস্থা বিক্রি করে তহবিল ভরানোকে কার্যত অভ্যাসের পর্যায় নিয়ে গিয়েছে মোদী সরকার।
উল্লেখ্য, দেশি ও বিদেশি পরামর্শদাতা সংস্থা এবং লগ্নিকারীরা সাফ জানাচ্ছে যে এমন চলতে থাকলে আগামীদিনে এলআইসির শেয়ার বিক্রি ধাক্কা খাবে। কারণ, মানুষের উৎসাহ ও আগ্রহ থাকবে না। শেয়ারের দর উচ্চমূল্য রাখা যাবে না। জোড়া কারণে, সরকারের লক্ষ্য পূরণ হওয়া কার্যত অসম্ভব। অর্থমন্ত্রকের তথ্য বলছে, গত এক অর্থবর্ষে এলআইসির নতুন পলিসি ক্রয় অনেকটাই কমে গিয়েছে। নতুন আয়কর ব্যবস্থায় এলআইসি কিনলে বাড়তি করছাড়ের সুযোগ নেই, ফলে করদাতাদের পলিসি কেনার আগ্রহ কমছে। এলআইসির প্রিমিয়াম বাবদ আয় অন্যান্য বছর তুলনায় বিগত অর্থ বছরের শেষ দুই মাসে ৭ হাজার কোটি টাকা কমে গিয়েছে। চলতি অর্থবর্ষের প্রথম তিন মাসেও একই অবস্থা চলছে, এই আবহে ফের এলআইসির শেয়ার বিক্রির পথে এগোচ্ছে কেন্দ্র। যা নিয়ে ইতিমধ্যেই শুরু হয়েছে শোরগোল। মোদী সরকারের সমালোচনায় সরব হয়েছে একাধিক মহল।