কথায় আছে, ‘যে মেঘ গর্জায়, সেই মেঘ বর্ষায় না’। বঙ্গ সিপিএমেরও যেন এখন সেই দশা। তাদের সমস্ত তর্জন-গর্জন যে শুধুমাত্র সোশ্যাল মিডিয়ায় সীমাবদ্ধ এবার ফের মিলল তার প্রমাণ। এবার পশ্চিম মেদিনীপুরে খোদ সুশান্ত ঘোষের গ্রামে প্রার্থীই দিতে পারল না বাংলায় ৩৪ বছর ধরে রাজত্ব চালিয়ে যাওয়া বামেরা। আর তাই সেখানে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জিতে গেল তৃণমূল। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার গড়বেতা-৩ ব্লকের উড়িয়াসাই গ্রাম পঞ্চায়েতের বেনাচাপড়া গ্রামে বাড়ি সুশান্ত ঘোষের। সেই বেনাচাপড়া যা কঙ্কাল কাণ্ডের জন্য বিখ্যাত। এখন দেখা যাচ্ছে উড়িয়াসাই গ্রাম পঞ্চায়েতের ১৪টি আসনের মধ্যে ৭টিতেই প্রার্থী নেই সিপিএমের। তার মধ্যে বেনাচাপড়ার ১৮৬ নম্বর বুথের পঞ্চায়েত আসনটিও রয়েছে। এই বুথেরই ভোটার সুশান্ত ঘোষ। অথচ সেখানে সিপিএম প্রার্থী দিতে না পারায় জিতে গিয়েছেন তৃণমূলের ময়না রায়।
প্রসঙ্গত, এই বছর সুশান্ত ঘোষকে সামনে রেখেই পশ্চিম মেদিনীপুরে পঞ্চায়েতের ভোট যুদ্ধে নেমেছে বামেরা। সুশান্তকে দলের জেলা সম্পাদক পদে ফিরিয়ে আনার পাশাপাশি তাঁর নেতৃত্বেই ভোটে লড়ছে আলিমুদ্দিন। অথচ সেই সুশান্তের বুথে প্রার্থী দিতে না পারায় এখন তীব্র অস্বস্তিতে পড়ে গিয়েছে তারা। প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে, ওই আসনটি মহিলা সংরক্ষিত। সেই আসনের জন্য দল থেকে যাকে প্রার্থী করা হবে বলে ঠিক করা হয়েছিল একদম শেষ মুহুর্তে তাঁর পরিবার বেঁকে বসে। উল্লেখ্য, ২০১১ সালে রাজ্যে পালাবদলের পর কঙ্কাল কাণ্ডে নাম জড়ানোয় জেলে যেতে হয়েছিল সুশান্তকে। তিনি এখন জামিনে মুক্ত। তবে সেই মামলা এখনও বিচারাধীন। এবার তাঁর বুথে গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী না থাকা নিয়ে নতুন করে কার্যত অস্বস্তি শুরু হয়েছে বামেদের অন্দরে। তবে শুধু বেনাচাপড়াই নয়, সুশান্ত ঘোষের এলাকা বলে পরিচিত গড়বেতা ও চন্দ্রকোনা রোডের অনেক আসনেও এবার সিপিএমের প্রার্থী নেই।