রাজ্যের পঞ্চায়েত নির্বাচনের দামামা বেজে গিয়েছে। আগামী ৮ জুলাই এক দফায় ভোট। আর তার আগে ফের রাজনৈতিক হিংসা কোচবিহারের দিনহাটায়। এবার এক তৃণমূল কর্মীর গলায় কুড়ুলের কোপ মারার অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। শাসকদলের দাবি, তৃণমূল প্রার্থীর স্বামীর ওপর আক্রমণের ছক কষা হয়েছিল। তাঁকে না পেয়ে ওই কর্মীর ওপর হামলা চালানো হয়েছে বলে অভিযোগ। জখম ওই তৃণমূল কর্মীকে কোচবিহার মেডিক্যাল কলেজে ভর্তি করানো হয়।
তৃণমূলের দাবি, সোমবার রাতে দিনহাটার বড় আঁটিয়াবাড়ি-১ গ্রাম পঞ্চায়েতের ২৩৬ নম্বর বুথে তৃণমূল প্রার্থী শর্মিষ্ঠা সরকারের স্বামী দেবাশিস বর্মণ এবং তৃণমূল কর্মী বিনয় বর্মণ এলাকায় বাড়ি বাড়ি প্রচারে বেরিয়েছিলেন। রাতে বাড়ি ফেরার সময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা দেবাশিসকে মারতে গিয়ে বিনয়ের উপর ভুল করে হামলা চালায় বলে অভিযোগ। দেবাশিস বলেন, ‘গত রাতে আমরা লোকের বাড়ি বাড়ি গিয়ে প্রচার করছিলাম। সেই সময় বৃষ্টি নামায় আমরা ছন্নছাড়া হয়ে পড়ি। এর পর আমরা যে যার মতো বাড়ি চলে যাই। তার পর খবর পাই বিজেপির লোকজন বিনয়কে ধারালো অস্ত্র দিয়ে গলায় মেরেছে।’
তাঁর দাবি, ‘আমাকে টার্গেট করা হয়েছিল। কিন্তু ওরা ভুলবশত বিনয়ের ওপর আক্রমণ করেছে।’ তিনি এই অভিযোগও করেন, যে এলাকায় সন্ত্রাস তৈরি করতে বিজেপি ভিনরাজ্য থেকে লোক জড়ো করছে কোচবিহারে। এদিকে, তৃণমূলের কোচবিহার জেলার মুখপাত্র পার্থপ্রতিম রায় আহত বিনয়কে দেখতে হাসপাতালে যান মঙ্গলবার। তিনি বলেন, ‘বিজেপির টার্গেট ছিল প্রার্থীর স্বামীকে মারা। কিন্তু ভুলবশত তারা বিনয়ের উপর আক্রমণ করে। গত কাল দু’জনে প্রায় একই রকম জামা পরেছিলেন। সেই কারণেই ওরা ভুল করেছে।’