এখনও কাটেনি করমণ্ডল-এক্সপ্রেস দুর্ঘটনার বিভীষকা। এই ভয়াবহতার রেশ স্তিমিত হতে না হতেই দেশজুড়ে আবারও একাধিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হয়েছে নানা ট্রেন। এবার ফের ঘটল তেমনই ঘটনা। দুর্ঘটনার কবলে পড়ল লোহিত এক্সপ্রেস। মঙ্গলবার দুপুরে লোহিত এক্সপ্রেসের বেশ কয়েকটি বগি লাইনচ্যুত হয় বলে জানা গিয়েছে। ঘটনাস্থলে গিয়েছেন রেলের আধিকারিকরা। ঘটনায় কেউ হতাহত হননি বলে শেষ খবর পাওয়া খবর পর্যন্ত। রেল পরিষেবা দ্রুত স্বাভাবিক করার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, লোহিত এক্সপ্রেস ১৫৬৫১ গুয়াহাটি থেকে জম্মু তাওয়াই যাওয়ার পথে ডালখোলা স্টেশন এবং সূর্যকমল স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনার মুখে পড়ে। স্থানীয় সূত্রে খবর, ইঞ্জিন থেকে ১০ টির মত বগি আলাদা হয়ে যায়। রেলের বগি লাইনচ্যুত হয়ে যায় বলে জানা যাচ্ছে। ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে রয়েছে রেলপুলিশ ও ডালখোলা থানার পুলিশ।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে ভারতীয় রেল। করমণ্ডল এক্সপ্রেসে প্রচুর মানুষের মৃত্যুর পরেও কেন এমন উদাসীনতা, তা নিয়ে সরব হয়েছে একাধিক মহল। মঙ্গলবার উত্তর দিনাজপুরের ডালখোলায় স্টেশনের অদূরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে লোহিত এক্সপ্রেস। গুয়াহাটি ছেড়ে জম্মু তাওয়াই-এর উদ্দেশ্যে রওনা দিয়েছিল ট্রেনটি৷ তারমধ্যে ডালখোলা স্টেশন এবং সূর্যকমল স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে ট্রেনটি। স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, আচমকাই ইঞ্জিন বগি থেকে আলাদা হয়ে পড়ে৷ প্রায় ১০ টি বগি আলাদা হয়ে যায় ইঞ্জিন থেকে। আর এতেই তীব্র আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। অনেকেই ট্রেন থেকে লাফ দিয়ে নেমে পড়েন। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে আসে ডালখোলা স্টেশন মাস্টার সহ রেলের পদস্থ আধিকারিকেরা। কী ভাবে এই ঘটনা ঘটল তা খতিয়ে দেখেন তারা৷ প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান ইঞ্জিন আর বগি মধ্যে সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। আর তাতেই হুড়োহুড়ি পড়ে যায় যাত্রীদের মধ্যে। কী হল, বুঝতে না পেরে ট্রেন থেকে বাইরে বেরিয়ে আসেন অনেকেই।
উল্লেখ্য, ১৫৬৫১ লোহিত এক্সপ্রেস গুয়াহাটি থেকে জম্মু তাওয়াই যাওয়ার পথে ডালখোলা স্টেশন এবং সূর্যকমল স্টেশনের মাঝে দুর্ঘটনার সম্মুখীন হয়। স্থানীয় সূত্রে খবর, ইঞ্জিন থেকে ১০ টির মত বগি আলাদা হয়ে যাওয়া ব্যাপক আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে যাত্রীদের মধ্যে। ইতিমধ্যে ঘটনাস্থলে রয়েছে রেলপুলিশ ও ডালখোলা থানার পুলিশ।
উল্লেখ্য, কিছুদিন আগেই বালেশ্বরে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে করমণ্ডল এক্সপ্রেস। যার জেরে প্রচুর মানুষ প্রাণ হারান। কেন বারবার একের পর এক ট্রেন এভাবে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছে তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্নের মুখে যাত্রীদের নিরাপত্তা। তাঁদের দাবি, রেল নিয়ে মোদী সরকারের রেল নিয়ে নিস্পৃহতার কারণেই ট্রেনের রক্ষণাবেক্ষণ সঠিকভাবে হচ্ছে না। রযাত্রীদের নিরাপত্তা জোরদার করার দাবি ক্রমশ জোরালো হচ্ছে। কেন্দ্রের সমালোচনায় মুখর হয়েছে বিরোধী দল থেকে সাধারণ মানুষ, প্রত্যেকেই।