আজ রথযাত্রা। উদযাপনে মেতে উঠেছে সারা দেশ। পার্বণের আবহেই ফের বিতর্কের কেন্দ্রে বিজেপিশাসিত গুজরাত। রাজকোটের একটি রথ নিয়ে সংবাদমাধ্যম এবং সামাজিক মাধ্যমে শুরু হয়েছে শোরগোল। রাজকোটের নানা মাভা এলাকায় অবস্থিত প্রাচীন জগন্নাথ মন্দির থেকে প্রতিবছরের মতো এবারও রথযাত্রা শুরু হয়। সকালে মন্দিরে পুজো দেন স্থানীয় বাসিন্দা তথা গুজরাতের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বিজয় রূপাণী। এরপর দুপুরে রথযাত্রা শুরু হলে দেখা যায় রথের আগে আগে চলেছে একটি বুলডোজার। সেটির গায়ে জড়ানো একটি ব্যানারে লেখা ‘সনাতনী বুলডোজার’।
স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে, শোভাযাত্রার শুরুতে বুলডোজার কেন? জগন্নাথ মন্দিরের প্রধান পুরোহিত মনমোহন দাসের কথায়, “সনাতন ধর্ম রক্ষা ও প্রসারের উদ্দেশে প্রতীকী হিসাবে বুলডোজারটি রাখা হয়েছে।” আবার রাজু জুনিয়া নামে এক বিজেপি কর্মী তথা রথযাত্রা কমিটির কর্তার কথায়, বুলডোজারটি রাখা হয়েছে হিন্দুদের মধ্যে ঐক্য স্থাপনের বার্তা দিতে। তবে অনেকেই মনে করছেন, বুলডোজার রেখে আসলে সংখ্যালঘুদের ভয় দেখানোর চেষ্টা হয়েছে। উত্তরপ্রদেশে যোগী আদিত্যনাথ বুলডোজার শাসন চালু করার পর একের পর এক বিজেপি শাসিত রাজ্য একই রাস্তার হেঁটেছে। বুলডোজার দিয়ে ঘরবাড়ি গুঁড়িয়ে দিয়েছে পুলিশ-প্রশাসন। বেআইনি দখলদার তুলতে কিংবা অপরাধীদের শায়েস্তা করতে এই উপায় অবলম্বন করা হয়েছে, দাবি করা হলেও বাস্তবে দেখা গিয়েছে এমন অভিযানে প্রধানত টার্গেট করা হয়েছে সংখ্যালঘু, বিশেষ করে মুসলিমদের। উল্লেখ্য, গুজরাত সরকারও একই রাস্তা অবলম্বন করেছে। হালে দেবভূমি দ্বারকায় কিছু এলাকা দখলমুক্ত করতে বুলডোজার অভিযান করা হয়। তাতে সংখ্যালঘুদের ঘরবাড়িই বেশি ভাঙা পড়ে। গত বছর কচ্ছ জেলার জাখাউ এলাকায় বুলডোজার অপারেশন চালিয়ে প্রশাসন ৪০০ বাড়িঘর ভেঙে দেয়। ফলত বিপন্ন হয়েছেন বহু সংখ্যালঘু মানুষ।