এবার বাংলার রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসকে কড়া ভাষায় একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সম্প্রতি ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন না করার জন্য ফোনে রাজ্যপালকে আরজি জানিয়েছিলেন মমতা। শুধু তাই নয়, চিঠি লিখেও রাজভবনের এহেন সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবারও সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলে দেন, “চিঠি দিয়ে এই ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন না করতে বলেছিলাম। রাজনৈতিক প্রতিহিংসা থেকে এসব পালন করা হচ্ছে। বাংলাকে অপমান করতে, অসম্মান করতেই বিজেপি এসব করছে। বাংলার মানুষের সঙ্গে রাজনীতির খেলা খেলা হচ্ছে।” তিনি আরও বলেন, বামফ্রন্ট কিংবা কংগ্রেস আমলেও কোনওদিন পশ্চিমবঙ্গ দিবস পালন করা হয়নি। তাহলে কেন আচমকা বিজেপি এই দিনটিকে আলাদা করে তুলে ধরার চেষ্টা করছে? প্রশ্ন তুলেছেন মমতা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০শে জুনের গুরুত্ব নিয়ে সন্দিহান ইতিহাসবিদরাও। এই তারিখেই ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ পালন করার কথা ঘোষণা করা হয় রাজভবনের তরফে। এদিন সকালে রাজভবনে বিভিন্ন অনুষ্ঠানের আয়োজন হয়। অন্যদিকে বিধানসভা থেকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে মিছিল বের করে গেরুয়াশিবিরও। আসলে ১৯৪৭ সালের ২০শে জুন অখণ্ড বাংলার প্রাদেশিক আইনসভার ভোটাভুটিতে দুই বাংলা ভাগের বিষয়টি চূড়ান্ত হয়েছিল। যদিও ইতিহাসবিদের একটি বড় অংশের মতে, সেই ভোটাভুটির আগে ৩রা জুনই ব্রিটিশ সরকারের দেশভাগের সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়ে গিয়েছিল। যে কারণে বাঙালির ইতিহাস কিংবা সংস্কৃতিতে এমন দিনের বিশেষ গুরুত্ব শোনা যায় না। বাংলায় এসে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’কে আলাদা করে তুলে ধরতে চেয়ে এ রাজ্যের আবহমান ঐতিহ্যকে কলুষিত করার চেষ্টা করছেন রাজ্যপাল, এই অভিযোগই তুলেছে রাজ্যের শাসকদল।