সদ্য ঘটে যাওয়া করমণ্ডল এক্সপ্রেসের ভয়াবহ দুর্ঘটনাকে ঘিরে সামনে এসেছে ভারতীয় রেলের দুরবস্থার নানাদিক। বিরোধী দলগুলির পাশাপাশি বহু রেলযাত্রীর বক্তব্য, একদিকে, বন্দে ভারতের মতো সুপার ফাস্ট ট্রেন চালু হচ্ছে, অন্যদিকে, করমণ্ডলের মতো দীর্ঘদিন ধরে চলা মেল/এক্সপ্রেসের প্রতি সরকারের নজর নেই। প্রাণ হাতে করে নারকীয় পরিস্থিতিতে সফর করতে হয় সাধারণ প্যাসেঞ্জার ট্রেনে।
এমনই একটি ভিড়ে ঠাসা প্যাসেঞ্জার ট্রেনের কামরার ভিতরের ছবি ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক মাধ্যমে। তাতে দেখা যাচ্ছে স্লিপার কোচের দুই সারি আসনের মাঝের অংশও ভিড়ে ঠাসা। যে অংশটি আসলে স্লিপার কোচের টিকিটধারী যাত্রীদের জন্য সংরক্ষিত।
ছবিতে দেখা যাচ্ছে, এক কমবয়সি যাত্রী টয়লেটে যেতে ভিড় ঠেলে এগোতে না পেরে স্পাইডারম্যানের কায়দায় দাঁড়িয়ে থাকা যাত্রীদের মাথার উপর দিয়ে কোনওরকমে এগোনোর চেষ্টা করছেন। সামাজিক মাধ্যমে এই ছবি ক্রমেই ভাইরাল হচ্ছে। অনেকেই কমেন্ট বক্সে তাদের দুর্বিষহ রেলযাত্রার অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরছেন। একজন বলেছেন, এই যাত্রী তো কম বয়সি। একবার ভাবুন তো ওই ভিড়ে থাকা বয়স্ক ও মহিলা যাত্রীদের কথা? ভয়াবহ পরিস্থিতি।
ফেসবুক, টুইটারে ছবিটি পোস্ট করেন অভিজিৎ দীপকে নামে এক ব্যক্তি। তিনি লেখেন, আমার খুড়তুতো ভাই ট্রেনটিতে যাত্রা করছেন। ভাইয়ের সহযাত্রী বন্ধুকে ভিড় ঠেলে টয়লেটে যেতে এমন কসরৎ করতে হচ্ছে। ভারতীয় রেলকে ধন্যবাদ ট্রেন যাত্রাকে এমন সাহসী ক্রীড়াতে বদলে দেওয়ার জন্য।
ট্রেন দুর্ভোগ নিয়ে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও নিশানা করেছেন কেউ কেউ। তাদের একজন লিখেছেন, আমাদের প্রধানমন্ত্রী যদি দিনে কুড়ি ঘণ্টা কাজ করতে পারেন তাহলে আমরা কয়েক ঘণ্টা ট্রেনে দাঁড়িয়ে ভ্রমণ করতে পারবো না কেন?