দীর্ঘ অপেক্ষার পর স্বস্তির হাওয়া শহরবাসীর মনে। অবশেষে দক্ষিণবঙ্গে প্রবেশ করল বর্ষা। উত্তরে বৃষ্টি শুরু হয়ে গেছে কয়েকদিন আগেই। কিন্তু দক্ষিণে বইছিল তীব্র তাপপ্রবাহ। প্রাক-বর্ষার হাল্কা বৃষ্টি হলেও তাতে গরম কমেনি। আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তিও ছিল। আলিপুর হাওয়া অফিস জানিয়েছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তুমুল ঝড়বৃষ্টি হবে দক্ষিণবঙ্গের কয়েকটি জেলায়। উত্তরবঙ্গে ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা রয়েছে। আবহাওয়া দফতর জানিয়েছে, গতকাল অর্থাৎ ১৯শে জুন বর্ষা ঢুকেছে কলকাতা সহ দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ অংশে। আগামী দু’দিনের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গের বাকি অংশে ঢুকে পড়বে মৌসুমী বায়ু। ১২ই জুন উত্তরবঙ্গে বর্ষা ঢুকেছে। তারপর থেকে এতদিন মালদহেই থমকে ছিল দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। বৃষ্টি অক্ষরেখা যেন আটকে গিয়েছিল পাহাড়েই। সাধারণত কলকাতা-সহ দক্ষিণবঙ্গে বর্ষা প্রবেশের স্বাভাবিক সময় হল ১১ জুন। সেখানে আট দিন পরে আগমন ঘটল বর্ষার।
প্রসঙ্গত, বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া ও পূর্ব বর্ধমান এই চার জেলাতে আগামী ২৪ ঘন্টায় ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবার মুষলধারে বৃষ্টির হতে পারে বীরভূম, মুর্শিদাবাদ, নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান, উত্তর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা, কলকাতা, পূর্ব ও পশ্চিম মেদিনীপুর সহ বিভিন্ন জেলায়। বৃহস্পতিবার দক্ষিণবঙ্গের বেশিরভাগ জেলাতেই বিক্ষিপ্তভাবে ভারী বৃষ্টির পূর্বাভাস রয়েছে।উত্তরবঙ্গে আগামী পাঁচ দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা জারি করেছে হাওয়া অফিস। বুধবার তুমুল ঝড়বৃষ্টি হতে পারে পাহাড়ে। মঙ্গল ও বুধবার ২০০ মিলিমিটার বা তার বেশি বৃষ্টি হতে পারে কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার এবং জলপাইগুড়ির কিছু অংশে। দার্জিলিং, কালিম্পং সহ উপরের দিকে পাঁচ জেলাতে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। ধস নামতে পারে। প্লাবিত হতে পারে নিচু এলাকাগুলো। দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহ কমেছে। পূর্বাভাস মতো বৃষ্টি হলে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় তাপমাত্রা আরও কমবে বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন আবহবিদরা।