দ্য ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল সায়েন্স অ্যাকাদেমি তাদের ৭২টি পুরস্কার বাতিল করল। ২০টি পুরস্কার বাতিল করেছে আর এক বিজ্ঞান গবেষণা প্রতিষ্ঠান দ্য ন্যাশনাল অ্যাকাদেমি অফ সায়েন্সেস। দুটি সংস্থাই ভারত সরকারের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রকের অধীনে পরিচালিত হয়। এই মন্ত্রকের মন্ত্রী প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। মন্ত্রকের আওতায় হলেও প্রতিষ্ঠানগুলি স্বশাসিত সংস্থা হিসাবে পরিচিত। স্বভাবতই সরকারি নির্দেশ ঘিরে প্রশ্ন উঠেছে শিক্ষা মহলে। চর্চা শুরু হয়েছে, কেন সরকারি নির্দেশে এতগুলি পুরস্কার বাতিল করে দেওয়া হল।
ওয়াকিবহাল মহল মনে করছে, সরকার বিজ্ঞান পুরস্কারের জন্য বাছাইয়ের পদ্ধতি ও মান পরিবর্তন করতে চলেছে। জাতীয় শিক্ষানীতিকে মাথায় রেখে বাছাই করা হবে কোনও ধরনের গবেষণাকে সরকার স্বীকৃতি দেবে। আর তাতে প্রাচীন ভারতীয় বিজ্ঞান সাধনার বিষয়গুলির আধুনিক উপযোগিতা প্রাধান্য পাবে।
তাৎপর্যপূর্ণ হল, পুরস্কার কাটছাট করার এই নির্দেশ জারি করেছিল অমিত শাহের স্বরাষ্ট্র দফতর। গত বছর সেপ্টেম্বরে কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রসচিব এই বৈঠকে সরকারের মনোভাব স্পষ্ট করে দেন। আসলে যে কোনও রাষ্ট্রীয় সম্মান প্রদানের আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের সবুজ সংকেত প্রয়োজন হয়। স্বরাষ্ট্র সচিব বৈঠকে সরকারের ভাবনা হিসাবে বলেন, গুচ্ছ পুরস্কারের পরিবর্তে সংস্থাগুলি এমন একটি বা দুটি সম্মানের ব্যবস্থা করুক যা নোবেল পুরস্কারের সমতূল বিবেচিত হয়। সরকার চায় ‘বিজ্ঞান রত্ন’র মতো উচ্চমানের কতিপয় পুরস্কার চালু রাখতে।
যদিও শিক্ষামহল মনে করছে, এই সিদ্ধান্তের আসল উদ্দেশ্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের স্বশাসন কেড়ে নিয়ে সরকার নিজেই এরপর পুরস্কার ঘোষণা করবে এবং নিজেরাই মানদণ্ড তৈরি করে দেবে। আর সেই কারণেই বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের স্পনসর করা পুরস্কারও সরকার কমানোর নির্দেশ দিয়েছে। যদিও তা করতে হলে লম্বা আইনি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে। কারণ, বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, ব্যক্তির সঙ্গে সংস্থার চুক্তি হয়ে আছে।