২৩ মে থেকে ব্যাঙ্কে ব্যাঙ্কে শুরু হয় ২০০০ টাকা বদলের প্রক্রিয়া। কোনও ব্যাঙ্কেই ১০টি বা তার কম ২০০০ টাকার নোট বদল করতে লাগছে না পরিচয়পত্র। এদিকে টাকা বদলের থেকেও জমা পড়ছে বেশি পরিমাণে। রিপোর্টে জানানো হয়েছে আরবিআই ওই বিজ্ঞপ্তি জারির পরের ১৫ দিনে দেশের বিভিন্ন ব্যাঙ্কে জমা পড়েছে ৩ লক্ষ ৩০ হাজার কোটি টাকার ২০০০-এর নোট।
এই সবের মাঝেই ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের কারণ সম্পর্কে আরটিআই করেছিলেন সাকেত গোখলে। তার জবাব এসেছে একমাস পর। সেই নিয়ে একটি টুইট করেছেন তৃণমূল নেতা। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘কেন, কোন পরিপ্রেক্ষিতে ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহার করা হয়েছে, তা জানতে চেয়ে আরবিআই-এর কাছে আরটিআই করেছিলাম।’
সাকেত গোখলে দাবি করেন, ‘আমি স্তম্ভিত। আরবিআই কোনও নির্দিষ্ট জবাব দেয়নি আমার প্রশ্নের। তারা আমার প্রশ্নের জবাব দিতে অস্বীকার করে। এবং দাবি করে, এই প্রশ্নের জবাবে নাকি ভারতের সঙ্গে অন্য দেশের সম্পর্ক খারাপ হতে পারে।’ এরপর সাকেতের প্রশ্ন, ‘২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সঙ্গে বিদেশ নীতি বা অন্য দেশের সঙ্গে সম্পর্কের কী যোগ রয়েছে?’
সাকেল টুইট বার্তায় লেখেন, ‘আরবিআই উদ্ভটভাবে আমাকে বলছে যে তাদের ২০০০ টাকার নোট প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত ভারতের সঙ্গে ভিনদেশের সম্পর্ককে প্রভাবিত করছে।’ এরপর টুইটে আরবিআই এবং অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামনকে ট্যাগ করে সাকেত প্রশ্ন করেন, ঠিক কী কারণে এই ধূর্ত, আকস্মিক এবং রহস্যময় ‘নোটবন্দী’?
এদিকে টুইটের সঙ্গে নিজের আরটিআই-এর জবাবের একটি কপিও পোস্ট করেন সাকেত। তাতে আরবিআই-এর জবাবে কলামে লেখা – ‘আরটিআই আইন, ২০০৫-এর ৮(১)(এ) ধারা অনুযায়ী এই প্রশ্ন সংক্রান্ত তথ্য প্রকাশ করতে বাধ্য নয় আরবিআই। কারণ এই পদক্ষেপ ভারতের কৌশলগত নীতি, অর্থনীতি এবং বিদেশ নীতির ওপর প্রভাব ফেলবে।’