পঞ্চায়েত-নির্বাচন পূর্ববর্তী আবহে ফের বড়সড় বিতর্কের মুখে পড়ল সিপিএম। মালদহে লক্ষ টাকার বিনিময়ে বিকোল ‘কাস্তে হাতুড়ি’ প্রতীক! প্রতিবাদে চলল বিক্ষোভ ও অবরোধ। পুড়ল সিপিএম নেতার ছবিও। মনোনয়ন পর্বের শেষ মুহূর্তে স্থানীয় নেতৃত্বের বিরুদ্ধে লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রির অভিযোগ তুলে রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখালেন সিপিএমের নেতা-কর্মীরা। মঙ্গলবার সকাল ন’টা নাগাদ বামকর্মীদের এই বিক্ষোভের জেরে তীব্র উত্তেজনা ছড়ায় মালদহের হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নম্বর ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকায়। সেখানে বিধুয়া-ডাঙ্গিলা মোড়ে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখানো হয়। দলীয় কিছু নেতৃত্বের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়েন বামকর্মীরা। রাস্তার টায়ার জ্বালিয়ে তাঁরা অবরোধ করেন। তার জেরে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল ব্যাহত হয়। চরম দুর্ভোগে পড়েন সাধারণ মানুষ। শুধু তা-ই নয়, ওই এলাকার দু’জন সিপিএম নেতার বিরুদ্ধে পঞ্চায়েত নির্বাচনে দলীয় প্রতীক বিক্রির অভিযোগ তুলে বিক্ষোভকারীরা প্রকাশ্যেই তাঁদের দু’জনের ছবি পুড়িয়ে ফেলেন।
বামকর্মীদের অভিযোগ, দলের যোগ্য কর্মীদের বাদ দিয়ে অযোগ্যদের প্রার্থী করা হয়েছে। টাকার বিনিময়ে ‘কাস্তে হাতুড়ি’ প্রতীক দেওয়া হয়েছে। ওই অযোগ্য প্রার্থীর হয়ে দলের কেউ ভোট চাইতে গ্রামে এলে তাঁকে গাছে বেঁধে জুতোপেটা করার নিদান দিয়েছেন কর্মীরা। এদিন বিক্ষোভকারীরা জানান, দলের নির্দেশে রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ৯ নম্বর পঞ্চায়েত সমিতির আসনে সিপিএম প্রার্থী হিসাবে মনোনয়ন পেশ করেন সুরভি খাতুন। ভোট প্রচারে নেমেও পড়েছিলেন তিনি। এর পরেই দল সিদ্ধান্ত বদলে ফেলে। তাঁকে আর টিকিট দেওয়া হবে না বলে সাফ জানিয়ে দেন রশিদাবাদ অঞ্চলের সিপিএমের আহ্বায়ক আব্দুল মান্নান। তবে কী কারণে টিকিট দেওয়া হবে না, তা তিনি স্পষ্ট করে কর্মীদের বলেননি বলে তাঁদের অভিযোগ। প্রতিবাদীদের দাবি, কেন যোগ্য প্রার্থী সুরভি খাতুনকে টিকিট না দিয়ে অন্যজনকে টিকিট দেওয়া হল? স্পষ্টতই বোঝা যাচ্ছে, মোটা অঙ্কের আর্থিক লেনদেন হয়েছে। “দলের হাইকম্যান্ডরা বুথে বসে সকলের সামনে টিকিট দেওয়ার কথা দিয়েছিলেন। তাঁদের কথামতো ১৫ জুন ব্লকে মনোনয়নপত্র জমা করেছিলেন জোট প্রার্থী সুরভি খাতুন। এরপর দল সিম্বল দিতে চাইছে না। অন্যজনকে সিম্বল দিয়েছে। লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে টিকিট বিক্রি করা হয়েছে”, জানিয়েছেন বিক্ষোভকারী বামকর্মী সামিউল আলি।
