পঞ্চায়েত ভোটে গ্রাম সভায় ৯৫ শতাংশ নতুন মুখ। জনসংযোগ কর্মসূচী ও ফোনে প্রার্থী বাছাই। নতুন মুখ নিয়েই গ্রাম পঞ্চায়েতে লড়াইয়ের সিদ্ধান্ত। এমনটাই দাবি তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। নবজোয়ার যাত্রায় প্রার্থী বাছাইয়ে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছিল। প্রার্থী খুঁজতে হয়েছিল দলের ভোট। এছাড়া ফোন মারফত বহু লোক তাদের পছন্দের প্রার্থী জানিয়েছেন। নতুন মুখেই ভরসা করে ভোটে লড়ছে শাসক দল। তবে জেলা পরিষদ আসনে বড়সড় বদল আসেনি৷
তৃণমূল কংগ্রেস সূত্রের দাবি, ব্লক সভাপতি, বিধায়কেরা যৌথ ভাবে প্রার্থীদের নাম পাঠিয়েছিলেন। জেলা সভাপতিও একটি তালিকা জমা দিয়েছিলেন। সেই তালিকা ধরে দলীয় স্তরে আলোচনা হয়েছে। পুরনোদের একাংশকে কেন বাদ দেওয়া হচ্ছে, তার কারণও দলীয় স্তরে বিধায়ক, ব্লক সভাপতিরা দলকে জানিয়েছেন। একই পদ্ধতি পঞ্চায়েত সমিতির প্রার্থী বাছাইয়ের ক্ষেত্রেও।
পঞ্চায়েতের ক্ষেত্রে অঞ্চল সভাপতি, বিধায়ক ও ব্লক সভাপতিরা নাম জমা দিয়েছেন। তা থেকে দু’টি করে নাম রাজ্যে পাঠানো হয়েছিল। তবে ‘নবজোয়ার যাত্রায়’ ভোটাভুটিতে উঠে আসা নাম নিয়েও খোঁজ নেওয়া হয়েছিল। এছাড়া ফোনে যারা মতামত দিয়েছিলেন তাদের নামও গ্রহণ করা হয়েছিল। সব মিলিয়ে ঝাড়াই-বাছাই করেই গ্রাম পঞ্চায়েতে প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল সূত্রে জানা যায়, ‘নবজোয়ার যাত্রায়’ জেলার নেতাদের সঙ্গে বৈঠকের সময়ে নতুন মুখ তুলে আনার ব্যাপারে ইঙ্গিত দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরভোটের সময়েও অনেক জায়গায় নতুনদের তুলে আনা হয়। যুবদের পাশাপাশি সমাজের নানা স্তরে প্রতিষ্ঠিত, এমন লোকজনকেও এ বার প্রার্থী করেছে দল।