এতদিন ডিজিটাল মাধ্যমে তাঁদের লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতেন তাঁরা। কিন্তু এখন সেই ডিজিটাল মাধ্যমই অকেজো হয়ে বসে গিয়েছে। আর তার জেরেই পেনশন পাচ্ছেন না বাংলার প্রায় ২৮ হাজার প্রবীণ মানুষ। তবে শুধু বাংলার প্রবীণরাই সমস্যায় পড়েছেন এমনটা নয়, সারা দেশে ২ লক্ষ ৫৭ হাজার প্রবীণ মানুষ এখন একই কারণে তাঁদের প্রাপ্য পেনশন পাচ্ছেন না। এখন সমস্যা সমাধানের জন্য তাঁদের সকলকেই বলা হচ্ছে ইপিএফও-র আঞ্চলিক কার্যালয়ে গিয়ে অফলাইনে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে। স্বাভাবিক ভাবেই এতে আরও বেশি সমস্যায় পড়েছেন এই প্রবীণরা। কারণ দেশের কোনও রাজ্যেই ইওইএফও-র গাদাগুচ্ছের কার্যালয় নেই। বাংলাতেই মাত্র ১২টি শহরে রয়েছে তাঁদের কার্যালয়। সব জেলাতেও নেই এই কার্যালয়। আর তা না থাকায় এখন সমস্যায় পড়েছেন রাজ্যের প্রবীণ মানুষেরা।
প্রসঙ্গত, দেশের যে সব মানুষেরা ইপিএফও-র আওতায় থেকে পেনশন পান তাঁদের প্রতি বছর নভেম্বর মাসে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দিতে হয়। আধারের মাধ্যমে জমা করা হয় তা। কিন্তু দেখা যাচ্ছে বায়োমেট্রিক সংক্রান্ত সমস্যার জেরে বহু পেনশনভোগীর ডিজিটাল লাইফ সার্টিফিকেট গৃহীত হয়নি। তাঁদেরই এখন পেনশন আটকে গিয়েছে। বাংলার বুকে পেনশন না পাওয়া এমন প্রবীণের সংখ্যা প্রায় ২৮ হাজার। এই হাজার হাজার প্রবীণ ভুক্তভোগীদের প্রতি এখন ইপিএফও-র আধিকারিকদের আর্জি, তাঁরা যেন ইপিএফও-র সংশ্লিষ্ট আঞ্চলিক অফিসে সশরীরে গিয়ে হাজিরা দেন ও সেখানেই তাঁরা যেন অফলাইনেই লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেন। তারপরেই তাঁদের পেনশন আবার চালু হয়ে যাবে। কিন্তু বৃদ্ধ বয়সে অসুস্থ শরীর নিয়ে এখন অনেকের পক্ষেই দূরে গিয়ে ইপিএফও-র আঞ্চলিক কার্যালয়ে লাইফ সার্টিফিকেট জমা দেওয়াটা কার্যত যন্ত্রণার সামিল।