এবার বিজেপি শাসিত মধ্যপ্রদেশে ফের ‘অনার কিলিং’! ১৮ বছরের শিবানী ও ২১ বছরের রাধেশ্যাম সম্পর্কে ছিলেন। সে সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার। আর তারই ‘শাস্তি’ হিসেবে শিবানীর বাড়ির লোকজন তরুণ যুগলকে গুলি করে খুন করে, পাথরে বেঁধে ফেলে দিল কুমিরে ভরা চম্বল নদীতে! মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার এই ঘটনায় শিউরে উঠছে খোদ পুলিশও।
জানা গিয়েছে, শিবানী তোমর মধ্যপ্রদেশের মোরেনা জেলার রতনবাসী গ্রামের বাসিন্দা। পাশের বালুপুর গ্রামের বাসিন্দা রাধেশ্যাম তোমরের সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরেই সম্পর্ক ছিল তাঁর। কিন্তু তাঁর পরিবার শুরু থেকেই এই সম্পর্কের বিরুদ্ধে ছিল। রাধেশ্যামকে একেবারেই পছন্দ করত না তারা। সূত্রের খবর, গত প্রায় ২ সপ্তাহ ধরেই নিখোঁজ ছিলেন যুগল। রাধেশ্যামের বাবা প্রথম আশঙ্কা প্রকাশ করেন, তাঁর ছেলে এবং তাঁর প্রেমিকাকে খুন করা হয়ে থাকতে পারে। এরপরেই তিনি থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
প্রাথমিকভাবে পুলিশ ভেবেছিল, শিবানী এবং রাধেশ্যাম পালিয়ে গেছেন। কিন্তু গ্রামবাসীরা জানান, তাঁরা ওঁদের দুজনের কাউকেই গত বেশ কয়েকদিন ধরে দেখেননি, পালাতেও দেখেননি। এরপরেই জোরদার তদন্ত শুরু করে পুলিশ। শিবানীর বাড়ির লোককে জেরা করতেই আসল ঘটনা সামনে আসে। শিবানীর বাবা এবং অন্য আত্মীয়দের দীর্ঘ কয়েক ঘণ্টা জেরা করার পর তারা দু’জনকে খুন করার কথা স্বীকার করে।
অভিযুক্তরা জানায়, গত ৩ জুন রাধেশ্যাম এবং শিবানীকে প্রথমে গুলি করে খুন করে তারা। তারপর তাদের দেহদুটি ভারী পাথরের সঙ্গে বেঁধে চম্বল নদীতে ডুবিয়ে দেওয়া হয়। উল্লেখ্য, এই চম্বল নদী কুমির এবং ঘড়িয়ালে ভর্তি। অন্তত ২০০০টি ঘড়িয়াল এবং ৫০০টি কুমির রয়েছে বলে খবর। পুলিশ জানিয়েছে, উদ্ধারকারী দলের সাহায্য নিয়ে ওই যুগলের দেহ নদী থেকে তোলা হয়েছে। দেহাবশেষগুলি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।