বাংলায় বিগত ২০১৮ সালে পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের হাতে খুন হয়েছিলেন সিউড়ির কড়িধ্যার ভাটিপাড়ার বাসিন্দা দিলদার খান। আর পাঁচ বছর ফের নিহত দিলদারের ভাইকেই আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটে প্রার্থী করল তৃণমূল কংগ্রেস। বীরভূমের সিউড়ির কড়িধ্যার ভাটিপাড়ার বাসিন্দা দিলদার খান ২০১৮ সালে ভাইয়ের স্ত্রীর সঙ্গে পঞ্চায়েত নির্বাচনে মনোনয়নপত্র জমা দিতে যাচ্ছিলেন। সেই সময় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা তাঁকে গুলি করে খুন করে বলে অভিযোগ। ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত ভোটে সেই দিলদারের ভাই শামসের খানকে প্রার্থী করল তৃণমূল। দাদার স্মৃতি আঁকড়ে সিউড়ির কড়িধ্যা পঞ্চায়েতের পাঁচ নম্বর সংসদের ১৯৩ নং বুথে ভোটে দাঁড়ালেন শামসের।
তৃণমূলের টিকিটে ভোটে দাঁড়িয়ে কেমন উপলব্ধি হচ্ছে, সেই প্রশ্নের জবাবে শামসের একহাত নেন গেরুয়াশিবিরকে। সাংবাদিকদের বলেন, “বিজেপি মিথ্যাচার করে। বিজেপি-আশ্রিত দুষ্কৃতীরাই আমার দাদাকে খুন করেছিল। আমার দাদা একজন সক্রিয় তৃণমূলকর্মী ছিলেন।” রাজ্য নির্বাচন কমিশন ভোটের নির্ঘন্ট প্রকাশের পর গ্রামবাসীরা শামসেরের দাঁড়ানোর পক্ষে মত দেন। দিলদার খুন হয়ে যাওয়ার পর বিজেপি তাঁর পরিবারকে দলে টানার চেষ্টা করে। কিন্তু পদ্ম-পার্টিতে নাম লেখাননি শামসের। ঘটনার পর বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের পাশে বসে দিলদারের স্ত্রী লুৎফা বিবি এবং বাবা তহিদ খান জানিয়েছিলেন, দিলদার ছিলেন তৃণমূলকর্মী। সেই ঘটনায় পুলিশের হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন চার জন।