পঞ্চায়েত ভোটের আবহেই রাজ্য সরকারের আরও এক সাফল্য সামনে এল। ‘উৎকর্ষ বাংলা’প্রকল্পের মাধ্যমে কারিগরি প্রশিক্ষণসহ কর্মসংস্থানের যে উদ্যোগ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিয়েছেন, তাতে সুফল মিলতে শুরু করেছে। বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রগুলি থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত প্রায় ১১০০ তরুণ-তরুণী গত দেড় মাসে রাজ্যে এবং বাইরের বিভিন্ন বেসরকারি সংস্থায় চাকরি পেয়েছেন। আর এই চাকরি পাওয়ার ব্যবস্থা করে দিয়েছে রাজ্যের কারিগরি প্রশিক্ষণ দফতর। তাঁরা জেলাভিত্তিক ‘কর্মসংস্থান শিবিরের’ আয়োজন করেছে। সেই শিবিরগুলি থেকে আইটিআই প্রশিক্ষণপ্রাপ্তদেরও চাকরির ব্যবস্থা করা হচ্ছে। নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই কলকাতা, হাওড়া, হুগলি, দুই ২৪ পরগনা, দুই মেদিনীপুর ও ঝাড়গ্রাম জেলায় শিবির হয়েছে। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া ও মুর্শিদাবাদসহ আরও কয়েকটি জেলায় শিবিরের দিনক্ষণ চূড়ান্ত হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু, পঞ্চায়েত ভোট ঘোষণা হয়ে যাওয়ার কারণে সেগুলি স্থগিত রাখতে হয়েছে। ভোটের পরেই, বাকি জেলাগুলিতে এই শিবির অনুষ্ঠিত হবে।
রাজ্যে মোট ২,৬৫২টি ভিটিসি আছে। সেখানে মোট ৪২টি বিষয়ে বিনামূল্যে দীর্ঘ ও স্বল্পমেয়াদি কারিগরি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। উচ্চ মাধ্যমিক এবং অষ্টম শ্রেণি উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের জন্য ৬ মাস থেকে ১ বছর মেয়াদি কোর্স করানো হয়। ভিটিসিগুলিতে রয়েছে গাড়ি শিল্পের জন্য অটো মোবাইল কোর্স, নির্মাণ শিল্পের জন্য কনস্ট্রাকশন কোর্স, বস্ত্র শিল্পের জন্য টেক্সটাইল কোর্স। আছে কম্পিউটার ও কৃষিভিত্তিক শিল্পের জন্যও নানান কোর্স।
শিল্প-বাণিজ্য সংস্থাগুলিতে কী ধরনের প্রশিক্ষিত কর্মীর চাহিদা রয়েছে, তার ভিত্তিতে কোর্সগুলি ঠিক করা হয়। বিভিন্ন প্রশাসনিক বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে কর্মসংস্থানের জন্য উদ্যোগ গ্রহণের ওপর বিশেষ জোর দিতে বলেছেন বারে বারে। এই ধরনের কিছু বৈঠকে শিল্প-বাণিজ্য সংস্থাগুলির প্রতিনিধিরাও উপস্থিত ছিলেন। তাঁদের সঙ্গে কথা বলেই এই সব কোর্সের ব্যবস্থা করা হয়। বেসরকারি সংস্থাগুলি যাতে এই উদ্যোগের সঙ্গে যুক্ত হয়ে রাজ্যের প্রশিক্ষিত যুবকদের কাজ দেয়, তার জন্যও রাজ্য সরকার এখন বেশ সক্রিয়।