সম্প্রতিই শেষ হয়েছে তৃণমূলের নবজোয়ার যাত্রা। পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে বাংলাজুড়ে জনসংযোগকে আরও দৃঢ় করে তুলতে এই কর্মসূচির সূচনা করেছিল তৃণমূল। ৫০ দিনের বেশি সময় ধরে রাজ্যের জেলায় জেলায় ছুটে গিয়েছেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। মিশেছেন জনতার ভিড়ে। এবার তাঁর ভূয়সী প্রশংসা শোনা গেল তৃণমূলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সীর মুখে। শনিবার সভার প্রথম বক্তা হিসাবে নবজোয়ার যাত্রার উল্লেখ করে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের তারিফ করলেন তিনি। সুব্রত বলেন, “আমি এক সময়ে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক এবং রাজ্য সভাপতি একসঙ্গে ছিলাম। আজ সময় এসেছে, আমার প্রস্তাব, অভিষেককে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের পাশাপাশি রাজ্য সভাপতিও করা হোক।”
এরপর সঙ্গে সঙ্গেই তাঁর হাত ধরে নেন বাঁদিকে বসা অভিষেক। হেসে বলেন, ‘‘কোনও প্রশ্নই ওঠে না, তুমিই থাকবে সভাপতি।’’ সুব্রত বলেন, ‘‘নেত্রী বিবেচনা করুন, ও সভাপতি হোক, আমি চেয়ারম্যান হয়ে সবরকম সাহায্য করব। তাছাড়া আমি নিয়মিত রাজ্যসভাতেও যেতে পারি না।’’ অভিষেক আবার বলে ওঠেন, “এসব কথা আসছে কেন? তুমি যা আছো, তাই থাকবে।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবার ঘুরে বলেন, ‘‘বক্সীদা, এসব কথা আর শুনছি না। পঞ্চায়েতের মনোনয়ন-পর্ব হয়ে গিয়েছে। আপনি পরবর্তী অ্যাকশনের কথা বলুন।’’ এখানেই প্রসঙ্গটি শেষ হয়। উল্লেখ্য, এদিন বক্তব্য রাখলেন আবেগতাড়িত হয়ে পড়েছিলেন সুব্রত বক্সী। তিনি বলেন, ‘‘মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চার-পাঁচটি প্রজন্ম তৈরি করে দিয়ে গিয়েছেন। উনি দীর্ঘায়ু হোন। কিন্তু আমরা না থাকলেও দল যোগ্য হাতে থাকবে। অভিষেকের নবজোয়ার যাত্রা তা প্রমাণ করে দিয়েছে। ওকে আমি অকুণ্ঠ শুভেচ্ছা এবং আশীর্বাদ জানাই।’’ মমতাও এদিন অভিষেকের দরাজ প্রশংসা করেন। পাশাপাশি কৃতজ্ঞতা জানান দলকেও। ‘‘গোটা দল একটা পরিবারের মতো এই নবজোয়ার যাত্রা সফল করেছে। দলের গোটা টিমকে অভিনন্দন’’, বক্তব্য তৃণমূল সুপ্রিমোর।