একটানা গরমের দাপুটে ইনিংস চলছেই। গোদের ওপর বিষফোঁড়ার মতো হাজির হয়েছে তাপপ্রবাহ। এ হেন পরিস্থিতিতে উত্তরবঙ্গ প্রচণ্ড বৃষ্টির জেরে স্বস্তি পেলেও তাপপ্রবাহ থামার নাম নেই পশ্চিমের জেলাগুলিতে। দক্ষিণবঙ্গে তাপপ্রবাহের সঙ্গে চরম অস্বস্তিকর আবহাওয়ার কথা জানিয়েছে আলিপুর আবহাওয়া দফতর। তবে সোমবারের পর দক্ষিণবঙ্গে হাওয়া বদলের সম্ভাবনা রয়েছে। বুধবারের মধ্যে দক্ষিণবঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রবেশের প্রবল সম্ভাবনা আছে। প্রাক বর্ষার বিক্ষিপ্ত বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টি বাড়বে। অন্যদিকে, থমকে আছে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ু। আপাতত মালদার উপরে তার অবস্থান রয়েছে। ১৮ থেকে ২১ জুনের মধ্যে ফের সক্রিয় হতে পারে মৌসুমী বায়ু এমনটাই অনুমান আবহাওয়াবিদদের।
এদিকে, কলকাতায় আজ আংশিক মেঘলা আকাশ থাকবে। সকালের দিকে মেঘলা আকাশ ও হালকা বৃষ্টি হলেও পরে আবহাওয়া বদলাবে। দিনভর অস্বস্তিকর গরম আবহাওয়া বজায় থাকবে। বৃষ্টি হলেও অস্বস্তি পিছু ছাড়বে না। কলকাতায় সকালে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ২৯.৭ ডিগ্রি। গতকাল সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৮.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আপেক্ষিক আর্দ্রতার পরিমাণ ৫৩ থেকে ৯২ শতাংশ। হাওয়া অফিসের পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, রবিবার পর্যন্ত চরম তাপপ্রবাহ চলবে পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম পূর্ব ও পশ্চিম বর্ধমান জেলায়। তাপপ্রবাহ চলবে বীরভূম মুর্শিদাবাদ নদীয়া এবং পশ্চিম মেদিনীপুর জেলায়। বাকি জেলাতেও চরম অস্বস্তিকর আবহাওয়া গরম বাড়বে।
সোমবারেও পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পশ্চিম মেদিনীপুর, ঝাড়গ্রাম এবং পশ্চিম বর্ধমানে তাপপ্রবাহ চলবে। বাকি জেলাতে বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির সঙ্গে অস্বস্তি থাকবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ কোথাও বৃষ্টি হলেও আর্দ্রতাজনিত অস্বস্তি থাকবে সোমবার পর্যন্ত। শনি ও রবিবার অস্বস্তি আরও চরমে উঠবে। বজ্রবিদ্যুৎ-সহ বৃষ্টির বেশি সম্ভাবনা থাকবে মুর্শিদাবাদ, নদিয়া এবং বীরভূম, পূর্ব মেদিনীপুর ও দক্ষিণ ২৪ পরগনা জেলাতে। অন্যদিকে, উত্তরবঙ্গে নিচের দিকের তিন জেলা মালদা, উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুর-এ তাপপ্রবাহের সতর্কতা রয়েছে। আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ওপরের দিকের জেলায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সম্ভাবনা রয়েছে। আরও পাঁচ দিন ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টির সতর্কতা। আগামী ৪৮ ঘন্টায় ২০০ মিলিমিটার পর্যন্ত বৃষ্টির সতর্কতা কোচবিহার, আলিপুরদুয়ার, জলপাইগুড়ির কিছু অংশে।