মহারাষ্ট্রে শাসক জোটের ফাটল ক্রমে চওড়া হচ্ছে। ক’দিন আগেই কেন্দ্রের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডেকে দিল্লিতে ডেকে মন্ত্রিসভা থেকে পাঁচ শিবসেনা মন্ত্রীকে বাদ দেওয়ার ফতোয়া শুনিয়েছেন। শাহের নির্দেশ ঘিরে শাসক জোটের দুই শরিক শিবসেনা ও বিজেপির মধ্যে চাপানউতর চলছে। ৩০ জুন রাজ্যের এই জোট সরকারের বর্ষপূর্তি। তার আগে পাঁচ মন্ত্রীকে অপসারণের নির্দেশ নিয়ে বেজায় বিরক্ত মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে।
এরই মধ্যে সংবাদপত্রে পাতা জুড়ে বিজ্ঞাপন দিয়ে শিবসেনা দাবি করেছে, মহারাষ্ট্রে জনপ্রিয়তায় মুখ্যমন্ত্রী শিন্ডে এক নম্বরে। বিজ্ঞাপনের শিরোনাম অবশ্য ‘রাজ্যে শিন্ডে, দেশে মোদী।’
এই বিজ্ঞাপন ঘিরে তুমুল রেষোরেষি শুরু হয়েছে শাসক জোটের দুই শরিকের মধ্যে। মহারাষ্ট্রের সরকারে প্রধান শক্তি বিজেপি। জোট রাজনীতির ধর্ম মেনে তারা শিবসেনার একনাথ শিন্ডেকে মুখ্যমন্ত্রী করেছে। জোটধর্ম মেনেই দুবারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ফড়ণবিশ বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নির্দেশে শিন্ডের মন্ত্রিসভায় উপমুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। যদিও সবাই একবাক্যে মানেন মহারাষ্ট্রের রাজনীতিতে ফডনবিস খুবই ওজনদার নেতা এবং বিজেপির কর্মী-সমর্থকদের কাছে তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তা রয়েছে।
শিন্ডের শিবসেনা সরকারের বর্ষপূর্তি উপলক্ষ্যে সমীক্ষা রিপোর্টসহ বিজ্ঞাপনটি প্রকাশ করেছে। তাতে যেভাবে শিন্ডেকে রাজ্যের জনপ্রিয়তম নেতা হিসাবে তুলে ধরে ফড়নবিশকে দ্বিতীয় স্থানে রাখা হয়েছে তা নিয়েই গোল বেঁধেছে। বিজ্ঞাপনটিকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবি রয়েছে। কিন্তু স্থান পায়নি ফডনবিসের ছবি।