কিছুদিন আগেই পর্নতারকাকে ঘুষ দেওয়ার মামলায় নাম জড়িয়েছিল তাঁর। আর এবার ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর পদ ছাড়লেও মার্কিন সরকারের গোপন নথি সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন তিনি। মঙ্গলবার সেই মামলায় মিয়ামির ফেডেরাল কোর্টে হাজিরা দিয়েছিলেন প্রাক্তন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে ওঠা প্রায় সমস্ত অভিযোগেই নিজেকে নিরাপরাধ বলে দাবি করেছেন ট্রাম্প। মিয়ামি থেকে নিউ জার্সিতে ফেরত আসতেই বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকেই দুষলেন তাঁর বিরুদ্ধে দায়ের মামলার জন্য।
প্রসঙ্গত, এই প্রথম কোনও মার্কিন প্রেসিডেন্টের বিরুদ্ধে আদালতের দ্বারস্থ হতে বাধ্য হয়েছে মার্কিন প্রশাসন। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে অভিযোগ, প্রেসিডেন্ট থাকাকালীন তিনি নিয়ম ভেঙে মার্কিন সরকারের গোপনীয় নথি নিজের ফ্লোরিডার বাড়ি মার-আ-লাগোতে নিয়ে গিয়েছিলেন। সেখানে বলরুম, বেডরুম থেকে শুরু করে বাথরুমে ফেলে রেখেছিলেন গুরুত্বপূর্ণ সমস্ত নথি। ওই বাড়িতে আসা অনেক অতিথিকেও দেখিয়েছিলেন সেই গোপনীয় নথি। এফবিআই সম্প্রতি সেই ছবিও প্রকাশ করেছে। যদিও মঙ্গলবার আদালতে অভিযোগ অস্বীকার করেন ট্রাম্প। ২০২৪ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে তিনি যাতে সামিল হতে না পারেন, তার জন্য ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে বলেও তিনি পাল্টা অভিযোগ করেন।
মামলার শুনানি শেষে মিয়ামি থেকে ব্যক্তিগত বিমানে চেপে নিউজার্সির বেডমিনস্টারের গল্ফ ক্লাবে আসেন ট্রাম্প। সেখানে বর্তমান প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনকে দুষে তিনি বলেন, ‘দুর্নীতিগ্রস্থ বর্তমান প্রেসিডেন্ট তাঁর অন্যতম রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বীকে ভুয়ো মামলায় গ্রেফতার করিয়েছিলেন। নির্বাচনের ঠিক মাঝামাঝি সময়ে, যখন তিনি গো-হারান হারছিলেন, সেই সময় এই কাণ্ড ঘটিয়েছিলেন। এই ঘটনার তদন্তে নামলে ও (জো বাইডেন) এবং একাধিক অন্যান্য প্রেসিডেন্টরা দোষী প্রমাণিত হবে।’ ট্রাম্পের দাবি, ২০২৪ সালে তিনি যাতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সামিল হতে না পারেন, তার জন্যই রাজনৈতিক উদ্দেশ্য প্রণোদিত মামলায় ফাঁসানোর চেষ্টা করা হচ্ছে।