দুর্নীতি নিয়ে একাধিক অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল। এই অবস্থায় সৎ প্রার্থী তুলে আনার চ্যালেঞ্জ নিয়েছিল তৃণমূল কংগ্রেস। চলতি বছরের ৪ ফ্রেব্রুয়ারি কেশপুরে সভা করতে গিয়ে কেমন হবে পঞ্চায়েত প্রার্থী তার উদাহরণ তুলে ধরেছিলেন অভিষেক। মঞ্চে ডেকে নিয়েছিলেন মঞ্জু দলবেরা ও শেখ হসিরুদ্দিনকে৷ এবার তাঁদেরকেই প্রার্থী করে চমকে দিল তৃণমূল কংগ্রেস।
শেখ হসিরুদ্দিন ও মঞ্জু দলবেরা দু’জনকে পঞ্চায়েতে প্রার্থী করল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁদের বাড়ির ছবি, আবাসে টাকা না নেওয়ার কথা তুলে ধরে কেশপুরের মঞ্চ থেকে অভিষেক বলেছিলেন, প্রার্থী কেমন হবে। কেশপুরে সভা করতে গিয়ে অভিষেক বলেছিলেন যা যা, তা মাথায় রেকেই এবার সেই দু’জনকে কেশপুরের কলাগ্রাম ও গোলারে প্রার্থী করল তৃণমূল কংগ্রেস।
মঞ্জু তৃণমূলের পঞ্চায়েত প্রধান ছিলেন। তাঁর স্বামী ১০ বছর ধরে বুথ সভাপতি। অভিজিতের মায়ের নাম উঠেছিল আবাস যোজনায়। কিন্তু পঞ্চায়েত প্রধান মঞ্জু গিয়ে নিজেই তা বাতিল করে দিয়েছিলেন। অর্থাৎ, শাশুড়ির নাম উঠেছিল। বাতিল করে দিয়েছিলেন পঞ্চায়েত প্রধান বৌমা। অভিষেক কেশপুরে হাসিমুদ্দিনের পায়ে হাত দিয়ে প্রণাম করেছিলেন। অভিষেক তাঁর কাঁধে হাত রেখে জনতার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন। তিনি মঞ্চ থেকে বলেছিলেন, ‘এই ভদ্রলোককে দেখে চোর মনে হয়? দুর্নীতিগ্রস্থ মনে হয়? এই ভদ্রলোক তৃণমূল করেন না। আবাস যোজনার তালিকায় তাঁর নাম এসেছিল। কিন্তু নিজে গিয়ে বলেছেন, আমার দরকার নেই।’
এই দুজনকেই এবার পঞ্চায়েতে প্রার্থী করে চমকে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। শেখ হসিরুদ্দিন কেশপুরের কলাগ্রামের বাসিন্দা৷ তাঁকে কলাগ্রাম গ্রাম পঞ্চায়েতের ১২ নম্বর আসনে প্রার্থী করা হয়েছে। অন্যদিকে, মঞ্জু দলবেরা কেশপুরের গলারের বাসিন্দা। তিনিও গলারের দু’নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রার্থী হলেন।