তারাই এখন ত্রিপুরায় প্রধান বিরোধী দল। আবার ভোটের ফলাফলের অঙ্কে দেখা গিয়েছিল, তাদের ভোট কাটাকুটির জন্যই ১৯টি আসনে জয় হাসিল করেছে বিজেপি। নইলে ত্রিপুরায় দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় ফেরা মুশকিল ছিল গেরুয়া শিবিরের। এ হেন জনজাতিদের পার্টি তিপ্রা মথার প্রধান প্রদ্যোৎ কিশোর দেববর্মনের সঙ্গে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি বির্জিত সিনহার সঙ্গে সাক্ষাৎ নিয়ে ত্রিপুরার রাজনীতিতে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। বির্জিত সিনহা দিল্লির এইমসে চিকিৎসাধীন। সেখানে গিয়ে তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন প্রদ্যোৎ।
এবারের ত্রিপুরা বিধানসভা ভোটে লড়াই ছিল ত্রিমুখী। একদিকে বিজেপি, অন্যদিকে সিপিএম-কংগ্রেস জোট। সেইসঙ্গে যুক্ত হয়েছিল জনজাতি মহল্লায় মথার লড়াই। ভোট শেষে দেখা যায় ৬০ আসনের ত্রিপুরা বিধানসভায় বিজেপি পেয়েছে ৩৩টি, জোট পেয়েছে ১৪টি (সিপিএম ১১টি ও কংগ্রেস ৩টি) আর মথা পেয়েছে ১৩টি।
প্রধান বিরোধী দল হলেও গত তিন মাসে বিধানসভায় বিজেপির সঙ্গে সংঘাতে যায়নি মথা। অনেকটা বাঁচিয়ে খেলার চেষ্টা করছে তারা। কিন্তু এরমধ্যেই কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে প্রদ্যোতের সাক্ষাৎ নিয়ে গুঞ্জন এই যে, বুবাগ্রা (রাজবাড়ির সন্তান) কি লোকসভায় কংগ্রেসের সমর্থনে পূর্ব ত্রিপুরা থেকে প্রার্থী হতে চাইছেন?
প্রদ্যোৎ নিজেও আগে কংগ্রেস করতেন। ছিলেন প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি। ২০২০ সালে সেপ্টেম্বরে কংগ্রেস ছেড়ে বেরিয়ে যান এবং নিজের নতুন দল তৈরি করেন। সেই নতুন পার্টি ত্রিপুরার স্বশাতি জেলা পরিষদ নির্বাচনে একার তাকতে ৭০ শতাংশ আসন দখল করে। তারপর বিধানসভাতেও ১৫টি জনজাতি অধ্যুষিত আসনের ১৩টিতে জিতে যায়।
প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতির সঙ্গে সাক্ষাৎ প্রসঙ্গে প্রদ্যোৎ বলেছেন, ‘আমি আমার পুরনো দলের বন্ধু ও বয়জ্যেষ্ঠদের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখি। তাঁরাও আমার খবর রাখেন।’