বারবার কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলিকে নিজেদের রাজনৈতিক স্বার্থে ব্যবহার করার অভিযোগ উঠেছে মোদী সরকারের বিরুদ্ধে। আরও একবার তেমন ঘটনার সাক্ষী রইল দেশ। এবার কেন্দ্রীয় এজেন্সির নজরে পড়লেন তামিলনাড়ুর মন্ত্রী তথা ডিএমকে নেতা সেন্থিল বালাজি। মঙ্গলবার তাঁর বাড়ি এবং তামিলনাড়ুর রাজ্য সচিবালয়ে হানা দিল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। যা নিয়ে ফের চরমে রাজনৈতিক চাপানউতোর। তামিলনাড়ুর মুখ্যমন্ত্রী এমকে স্ট্যালিন তো বটেই, তাঁর পাশে দাঁড়িয়ে মোদী সরকারকে কড়া নিন্দায় বিঁধেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। স্ট্যালিনের ঘনিষ্ঠ সেন্থিলের বিরুদ্ধে বেআইনি অর্থ লেনদেন সংক্রান্ত কয়েকটি অভিযোগ রয়েছে। এর আগে গত মে মাসে তাঁর বাড়িতে হানা দিয়েছিল আয়কর বিভাগ। এরপর মঙ্গলবার সেন্থিলের বাড়ি, তামিলনাড়ুর সচিবালয়-সহ একাধিক ঠিকানায় তল্লাশি অভিযান চালায় ইডি। সেন্থিলের অভিযোগ, তাঁকে না জানিয়েই তল্লাশি চালাতে এসেছেন ইডির আধিকারিকরা। তবে তদন্তে সহযোগিতা করবেন তিনি।
স্বভাবতই নিজের ঘনিষ্ঠ নেতার বাড়িতে আচমকা ইডি হানা দিতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন ডিএমকে সুপ্রিমো এম কে স্ট্যালিন। তিনি বলছেন,”মানুষ বিজেপির ভীতি প্রদর্শনের রাজনীতি দেখছেন। বিজেপি রাজনৈতিক ভাবে যাঁদের মোকাবিলা করতে পারছে না, তাঁদের ভয় দেখাতে কেন্দ্রীয় সংস্থাগুলিকে ব্যবহার করছে। কিন্তু এ ভাবে ওরা সফল হতে পারবে না।” স্ট্যালিনের প্রশ্ন, সেন্থিল তো শুরু থেকেই তদন্তে সহযোগিতা করে আসছেন, তাহলে তাঁর বাড়িতে এভাবে ইডি হানা কেন? সরব হন এ রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। “আমি ডিএমকের সেন্থিল বালাজির বিরুদ্ধে হওয়া রাজনৈতিক প্রতিহিংসার নিন্দা করছি। কেন্দ্রীয় এজেন্সির অপব্যবহার চলছেই। ওওওএভাবে একজন মন্ত্রীর বাড়ি এবং সচিবালয়ে তল্লাশি মেনে নেওয়া যায় না। বিজেপি মরিয়া হয়ে উঠেছে”, মোদী সরকারকে একহাত নিয়ে বক্তব্য মমতার।