পঞ্চায়েত ভোটের আগে জোট হতেই তাতে জট পাকিয়ে গেল পাহাড়ে। রবিবার সন্ধেয় একপ্রকার ঢাকঢোল পিটিয়ে বিমল গুরুং, অজয় এডওয়ার্ডকে পাশে নিয়ে বিজেপি সাংসদ নতুন রামধনু জোট ইউনাইটেড গোর্খা মঞ্চ তৈরি করেন। কিন্তু সোমবারই জোটসঙ্গীদের না জানিয়ে প্রার্থী ঘোষণা করলেন হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড। তিনি তাঁর দলের মহিলা প্রতিনিধি রেশমা গুরুংকে এদিন টিকিট দেন।
এদিকে তাঁর এই কর্মকাণ্ডের বিরুদ্ধে ক্ষোভে ফেটে পড়ে জোটসঙ্গী জিএনএলএফ ও গোর্খা জনমুক্তি মোর্চা। এভাবে প্রার্থী ঘোষণা তাঁরা মেনে নিতে পারেনি। জিএনএলএফ তো হুমকির সুরে বলেছে, এর ফল ভোগ করতে হবে অজয়কে।
অনীত থাপার ভারতীয় গোর্খা প্রজাতান্ত্রিক মোর্চা ও তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে এই রামধনু জোট করেছে বিজেপি। তাঁরা আলোচনা করে ঠিক করেন জোটের নাম। এছাড়া সকল দলকে জানানো হয় একসঙ্গে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। যে যেখানে শক্তিশালী সে সেখানেই প্রার্থী। আগে একটি প্রতীক চিহ্ন বাছাই করে তারপর প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে। কিন্তু এসবের তোয়াক্কা না করেই সোমবার সকালে হঠাৎ একজন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করে দেন হামরো পার্টির সভাপতি অজয় এডওয়ার্ড। যা কোনওভাবেই মেনে নিতে পারেনি তার শরিকদল।
এ প্রসঙ্গে বিজেপি বিধায়ক তথা জিএনএলএফ মুখপাত্র নীরজ জিম্বা বলেন, ‘আমরা ওদের ডাকিনি ওঁরা রাতের অন্ধকারে এসে আমাদের সঙ্গে জোট করেছিল। এখন নিজেই নিয়ম ভাঙছেন। এর ফল ওকে ভোগ করতে হবে। কেউ ওর প্রার্থীদের ভোট দেবে না। কারণ আমরা ঠিক করেছিলাম একসঙ্গে প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হবে’। অন্যদিকে গোর্খা জনমুক্তি মোর্চার সাধারণ সম্পাদক রোশন গিরি বলেন, ‘আমি তো জানি না এরকম হয়েছে। যদি এরকম করে থাকে তাহলে তা ঠিক করেনি। আমি বিষয়টা নিয়ে খোঁজ খবর নিচ্ছি’।