নিজেদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বাড়ল না আসন্ন পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সময়সীমা। এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনই। বহাল থাকছে কমিশনের ৯ই জুনের বিজ্ঞপ্তিই। তবে রাজ্য পুলিশের পাশাপাশি কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে হবে পঞ্চায়েত নির্বাচন।
একনজরে জেনে নেওয়া যাক, কী কী বলল কলকাতা হাই কোর্ট :
১) পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়ন প্রক্রিয়ার সময়সীমা বাড়ল না। এবিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে রাজ্য নির্বাচন কমিশনই। রাজ্যের পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী পদক্ষেপ করবে নির্বাচন কমিশন।
২) আইন অনুযায়ী পর্যবেক্ষক নিযুক্ত করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
৩) অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতির পর্যবেক্ষণে নির্বাচনের আবেদন খারিজ।
৪) অনলাইনে মনোনয়ন পেশের আবেদন খারিজ করল আদালত।
৫) স্পর্শকাতর জেলাগুলিতে মোতায়েন করতে হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
৬) যে সমস্ত এলাকায় রাজ্য পুলিশের সংখ্যা কম থাকবে সেখানেও ধীরে ধীরে মোতায়েন হবে কেন্দ্রীয় বাহিনী।
৭) অন্যান্য কোন-কোন জেলায় কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে, তা পরে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
৮) শান্তিতে নির্বাচন করতে সমস্ত ব্যবস্থা করবে রাজ্য নির্বাচন কমিশন।
৯) যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী নেই, সেখানে ভোটকর্মীদের নিরাপত্তার সম্পূর্ণ দায়িত্ব নিতে হবে রাজ্য পুলিশ, রাজ্য সরকার ও রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে।
১০) সমস্ত বুথে সিসিটিভি লাগাতে হবে। যেখানে সিসিটিভি লাগানো যাবে না সেখানে ভিডিওগ্রাফি করতে হবে। সেই ফুটেজ সংরক্ষণ করতে হবে।
১১) যেখানে কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন করা যাবে না সেখানে ভোট কর্মীদের নিরাপত্তা সুনিশ্চিত করবে রাজ্য।
১২) রাজ্য সরকারি কর্মীদের দিয়ে একেবারেই কাজ না করা গেলে তবেই ভোট প্রক্রিয়ায় চুক্তিভিত্তিক কর্মীদের নিয়োগ করতে হবে। এদের চতুর্থ পোলিং অফিসার হিসাবে নিযুক্ত করা যাবে না।
১৩) সিভিক ভলান্টিয়ার্স ভোটের কাজে ব্যবহার করা যাবে না। হাই কোর্টের সার্কুলারের বাইরে কোনও কাজে তাঁদের নিয়োগ করা যাবে না।
১৪) পঞ্চায়েতের তিনস্তরে গণনা করতে হবে একসঙ্গে।