রেজিস্ট্রি বিয়ে করেও সামাজিক ক্ষেত্রে স্ত্রীর পরিচয় দিতে অস্বীকার করার অভিযোগ উঠল বিজেপি বিধায়কের বিরুদ্ধে। শুধু তাই নয়, রেজিস্ট্রি বিয়ের পরদিন থেকেই বিধায়ক ডিভোর্সের দাবি জানাচ্ছেন এবং স্ত্রীর কাছে ১ কোটি টাকা দাবি করেছেন বলেও অভিযোগ। রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর বিরুদ্ধে এমনই অভিযোগ এনেছেন স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী।
তাঁকেই গত ২৮ মে বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী আইনগতভাবে বিয়ে করেছেন বলে জানা গিয়েছে। ইতিমধ্যে বিধায়কের বিরুদ্ধে তিলজলা থানায় এফআইআর দায়ের করেছেন স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। যদিও এব্যাপারে বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি। তাঁর সঙ্গে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও কোনওভাবে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি।
পুলিশের কাছে অভিযোগপত্রে স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী জানিয়েছেন, গত ২৮ মে রানাঘাট দক্ষিণের বিজেপি বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারীর সঙ্গে তাঁর রেজিস্ট্রি বিয়ে হয়। বিধায়কের মা, বাবা, ভাই, দিদি, জামাইবাবুর উপস্থিতিতেই তাঁদের বিয়ে হয়। কিন্তু, বিয়ের পর বিধায়ক তাঁকে সামাজিকভাবে স্ত্রীর পরিচয় দিতে নারাজ বলে অভিযোগ স্বস্তিকার। এমনকি তাঁর থেকে ১ কোটি টাকা দাবি করা হচ্ছে এবং ডিভোর্সের দাবি জানিয়ে বিধায়ক তাঁকে মানসিকভাবে হেনস্থা করছেন বলেও অভিযোগ স্বস্তিকার।
কেবল বিধায়ক একা নন, মুকুটমণি অধিকারীর বাবা ভূপাল অধিকারী এবং ভাই অনুপম অধিকারীর বিরুদ্ধেও তিলজলা থানায় অভিযোগ দায়ের করেছেন স্বস্তিকা ভুবনেশ্বরী। তাঁর অভিযোগের ভিত্তিতে বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী সহ তাঁর বাবা ও ভাইয়ের বিরুদ্ধে বধূ নির্যাতন, পণের জন্য চাপ দেওয়া, হুমকি সহ একাধিক ধারায় মামলা রুজু করেছে পুলিশ।